বাসস দেশ-২২ : সংখ্যালঘু নির্যাতন সম্পর্কে বিএনপির মিথ্যাচারে নির্মূল কমিটির নিন্দা

136

বাসস দেশ-২২
বিএনপি-মিথ্যাচার-নিন্দা
সংখ্যালঘু নির্যাতন সম্পর্কে বিএনপির মিথ্যাচারে নির্মূল কমিটির নিন্দা
ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : সংখ্যালঘু নির্যাতন সম্পর্কে বিএনপির মিথ্যাচারে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
আজ সংগঠনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘১০ ডিসেম্বর বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন- “বিএনপি কখনও সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন করেনি। বিএনপির আমলে সংখ্যালঘুদের স্বার্থরক্ষা করা হয়েছে বরং সংখ্যালঘুদের উপর আওয়ামী লীগ আমলে যত নিপীড়ন হয়েছে, তা আর কখনও হয়নি”। আমরা বিএনপি নেতার এই নির্লজ্জ মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা করছি।’
নেতৃবৃন্দ বলেন, ’২০০১ সালে ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবং পরবর্তী ৫ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি-জামায়াত জোট বাংলাদেশে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিরোধী দলের নেতাকর্মী, মুক্তচিন্তার বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকদের উপর যে নৃশংস নির্যাতন, হত্যাকান্ড ও ধ্বংসযজ্ঞ সংঘটিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে এর কোনও নজির নেই।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রথম ১৫০০ দিনের সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস সম্পর্কে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রকাশিত তিন খন্ডের শ্বেতপত্রে প্রায় তিন হাজার ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে বলে তারা জানান।
পরবর্তীকালে উচ্চতর আদালতের নির্দেশে গঠিত মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর কমিশনের শ্বেতপত্রে ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক নির্যাতন ও মানবাধিকার লংঘনের প্রায় ১০ হাজার ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে। ওই সময় সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রায় ৩ লাখ মানুষ প্রাণ বাঁচাবার জন্য বিভিন্ন দেশে আশ্রয় গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছিল যাদের ভেতর আড়াই লাখের অধিক পরবর্তীকালে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেছে। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগ আমলে সংখ্যালঘু নির্যাতন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে, যে সব ঘটনা বিচ্ছিন্নভাবে ঘটেছে বর্তমান সরকার তা অস্বীকার না করে দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে বলে নির্মূল কমিটি বিবৃতিতে উল্লেখ করে।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘বিএনপির সংখ্যালঘু নির্যাতনের ভুক্তভোগী পূর্ণিমা, আদুরি, রাধারাণীসহ শত শত নারী এখনও বেঁচে আছেন সাক্ষী দেয়ার জন্য। নির্যাতন করে সে ঘটনা অস্বীকার করা আরও বড় অপরাধ, যা নির্যাতকদের অধিকতর নির্যাতনে উৎসাহিত করে।
সাম্প্রদায়িক নির্যাতন সম্পর্কে এ ধরনের মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকার জন্য তারা বিএনপি নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সাহাবুদ্দিন চুপ্পু কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী দ্রুত দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন-বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি শামসুল হুদা, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, কর্ণেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী, লেখক সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী, সাংবাদিক কামাল লোহানী, অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, অধ্যাপক অনুপম সেন, কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হক, শিল্পী হাশেম খান, শিল্পী রফিকুননবী, অধ্যাপিকা পান্না কায়সার ও অধ্যাপিকা মাহফুজা খানম।
বাসস/সবি/এমএসএইচ/১৮০৭/-এবিএইচ