বাজিস-২ সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন আগামীকাল

148

বাজিস-২
সাতক্ষীরা -সম্মেলন
সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন আগামীকাল
সাতক্ষীরা, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৯ ( বাসস) : আগামীকাল ১২ ডিসেম্বর শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। এ নিয়ে নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের উচ্ছ্বাসের অন্ত নেই। পছন্দের ব্যক্তিকে শীর্ষ পদে আনতে চায়ের টেবিল, আলোচনা সভা ইত্যাদিতে চলছে প্রচার-প্রচারণা। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে আওয়ামী-লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ-সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বিশেষ অতিথি হিসেবে, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত থাকবেন।
সম্মেলনকে ঘিরে নতুন সাজে সেজেছে সাতক্ষীরা। শহরে শোভা পাচ্ছে ব্যানার-পোস্টার-ফেস্টুন । ইতোমধ্যে জেলা ৭টি উপজেলা ও একটি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। বাকী আছে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এ সম্মেলনকে ঘিরে শুরু হয়েছে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা। দলের নেতৃত্বে আনতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করছেন কর্মী সমর্থকরা। তবে সম্ভাব্য এসব প্রার্থীদের অনেকেই এখনো প্রার্থী হওয়া না হওয়া নিয়ে মুখ খোলেননি। যদিও এসব প্রার্থীদের অনেকের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার চালাতে দেখা গেছে।
সর্বশেষ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। সম্মেলনে সমঝোতার ভিত্তিতে মুনসুর আহমেদকে সভাপতি ও মোঃ নজরুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ১১ এপ্রিল ৭৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। যদিও দীর্ঘ এ সময়ের মধ্যে কমিটির ৭ জন সদস্য মৃত্যুবরণ করেন।
এবারের সম্মেলনে জেলা কমিটির সদস্য, ৭টি উপজেলা ও একটি পৌরসভা থেকে মোট ৩৪১ জন কাউন্সিলর নির্ধারণ করা হয়েছে। কাউন্সিলরদের ভোটে নতুন কমিটি নির্বাচিত হওয়ার কথা। তবে সারাদেশের কোথাও এবারের সম্মেলনে ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়নি। সব জেলাতেই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তথা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কমিটি ঘোষণা করেছেন।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুটি পদে বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকই থাকছেন, নাকি নতুন নেতৃত্ব আসছে তা নিয়ে চলছে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা। সম্ভাব্য প্রার্থীদের দু’একজন ছাড়া কেউ মিডিয়ার সামনে মুখ খুলতে চাচ্ছেন না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও তৃণমূল পর্যায়ে সভাপতি হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, বর্তমান সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান। তবে, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চলতে দেখা গেছে।
সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু, এক সময়ের ছাত্র নেতা আ. হ. ম তারেক উদ্দীন, নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী গণ-আন্দোলনে নেতা শেখ সাহিদ উদ্দিন, অনিক মুখার্জী, হারুন-অর-রশিদ, সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র প্রমুখর নাম।
এদিকে যাদের নামে প্রচারণা শুরু হয়েছে তাদের অধিকাংশের রয়েছে ধারাবাহিক রাজনৈতিক কর্মকান্ডের গৌরবোজ্জ্বল অতীত। তাদের রয়েছে ব্যাপক সুখ্যাতি। তাদের কারো কারো হাত ধরে জেলার উন্নয়ন হয়েছে। নেতৃবৃন্দ একবাক্যে বলছেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে তাদের আপত্তি নেই।
বাসস/সংবাদদাতা/১০-৫৭/নূসী