বাসস দেশ-২২ : সরকারের সঠিক পদক্ষেপে খাদ্য ঘাটতির দেশ বর্তমানে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ : কৃষিমন্ত্রী

133

বাসস দেশ-২২
রাজ্জাক-সার্ক
সরকারের সঠিক পদক্ষেপে খাদ্য ঘাটতির দেশ বর্তমানে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ : কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের সফল নেতৃত্বে দেশ শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতাই অর্জন করেনি খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে।
তিনিবলেন, সঠিক ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ, প্রণোদনা প্রদান, উন্নত প্রযুক্তি, কৃষক ও সংশ্লিষ্টদের পরিশ্রমেই কৃষিক্ষেত্রে এই যুগান্তকারী বিপ্লব অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য সরকার পুনরায় সারের দাম কমানোর পাশাপাশি নানা ধরনের প্রণোদনা দিচ্ছে এবং কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানীর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
আব্দুর রাজ্জাক আজ রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে সার্ক কৃষি কেন্দ্রের উদ্যোগে ৩৫তম সার্ক সনদ দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. কবীর ইকরামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক নাহিদা রহমান সুমন।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সার্ক কৃষি কেন্দ্রের পরিচালক ড. এস এম বখতিয়ার ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. ত্রিলোচন মহাপাত্রা।
কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাক বলেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করলেও পুষ্টি নিরাপত্তা ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে আমরা এখনো অনেক পিছিয়ে আছি। পুষ্টিকর খাবারের জোগোনের মাধ্যমে আমরা এটি অর্জন করতে পারি।
তিনি বলেন, তাই খাদ্যশস্য আর প্রাণিজ আমিষ উৎপাদনে আমাদের আরো মনোযোগী হতে হবে। তবেই আমরা স্বাস্থ্যবান জাতি হিসেবে বিশ্বে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারব।
মন্ত্রী বলেন, সার্কভুক্ত দেশগুলো কৃষিতে ভালো করছে। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুকিপূর্ণ দেশ, তথাপি জলবায়ু পরিবর্তনের উপযোগী ফসলের জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, কৃষির বিভিন্ন খাত ও উপখাতে আমাদের অর্জন ভালো। বাংলাদেশ নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করে আধুনিক ও বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরিত হচ্ছে।
রাজ্জাক বলেন, সামগ্রীক উন্নয়নের জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতা, পারস্পরিক ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতার বিকল্প হতে পারে না। অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার জন্য একটি কার্যকর পদক্ষেপ হলো আঞ্চলিক সহযোগি জোট গঠন করা। যথার্থ অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক সহযোগিতা ও সমঝোতা।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবেলায় আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
বাসস/সবি/এমএএস/১৮১০/কেকে