বাসস দেশ-২০ : ভারতের মালদায় সীমান্ত বৈঠক শেষে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা দেশে ফিরেছেন

139

বাসস দেশ-২০
বিজিবি-বিএসএফ-বৈঠক
ভারতের মালদায় সীমান্ত বৈঠক শেষে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা দেশে ফিরেছেন
দিনাজপুর, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদায় অনুষ্ঠিত উভয় দেশের উত্তরাঞ্চেলের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর প্রতিনিধিদের সীমান্ত বৈঠক শেষে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আজ দেশে ফিরেছেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তরাঞ্চেলের জেলাগুলোর সীমান্ত সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে ভারতের মালদায় উভয় দেশের জেলা প্রশাসক ও ম্যাজিষ্ট্রেট, পুলিশ সুপার এবং বিজিবির প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মোঃ মাহমুদুল আলম জানান, বাংলাদেশ ভারতের প্রতিনিধিদের বৈঠক শেষে আজ শনিবার বিকেল ৪টায় দিনাজপুর হিলিস্থলবন্দর দিয়ে ৫৯ জন কর্মকর্তা দেশে ফিরেছেন।
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকা কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোঃ জাকির হাসান সাংবাদিকদের জানান, গত ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে উত্তরাঞ্চলের রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের সীমান্তবর্তী ৯টি জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং বিজিবি’র ৫৯ জন প্রতিনিধি নিয়ে তিনি ভারতের মালদাহ জেলায় বৈঠকে অংশগ্রহনের জন্য হিলিস্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যান।
তিনি জানান, গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দুপুরে ১ ঘন্টা নামাজ ও খাওয়ার বিরতী দিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ভারতের উত্তরাঞ্চলের ৬টি জেলার জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট, পুলিশ সুপার এবং সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফ’র প্রতিনিধিরা অংশগ্রহন করেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে রংপুর ও দিনাজপুর বিভাগের ৯ট জেলা, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, জয়পুরহাট, নওগাঁ, রাজশাহী, নিলফামারী, কুড়িগ্রাম ও লালমনিহাট জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিজিবির প্রতিনিধি এবং সীমান্তবর্তী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা অংশ গ্রহণ করেন।
বৈঠকে সীমান্তে অহেতুক গুলিবর্ষণ, বাংলাদেশী সীমান্তবর্তী নাগরিকদের ধরে নিয়ে যাওয়া, চোরাচালান, মাদক দ্রব্য পাচার রোধকল্পে ব্যাপক আলোচনা হয়। চোরাচালান প্রতিরোধে সীমান্ত রক্ষীদের যৌথ টহল ব্যবস্থা জোরদার, সীমান্ত বাসীদের চোরাচালানী কার্যক্রম রোধ ও তাদের বিকল্প কর্ম সংস্থান সৃষ্টি এবং চোরাচালানীদের যৌথ ভাবে আটক করে আইনে সোপর্দ করাসহ বিভিন্ন সমস্য নিরসনে উভয় দেশের প্রতিনিধিরা একমত পোষন করেন।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু বাস্তবায়ন ও কার্যকর করতে উভয় দেশের সরকারের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বাসস/সংবাদদাতা/এফএইচ/১৮৪৫/কেএমকে