প্রাণিজ আমিষের ঘাটতি শূন্যের কোটায় আনা হবে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

1190

ঢাকা, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু বলেছেন, এদেশের মানুষের প্রয়োজনীয় প্রাণিজ আমিষ ও পুষ্টিকর খাদ্যের ঘাটতি শূন্যের কোটায় আনার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি আজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ লাইভস্টক অ্যাওয়ার্ড, সেমিনার এবং লাইভস্টক ও পোল্ট্রি মেলা-২০১৯ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ লাইভস্টক সোসাইটি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ‘গত দশ বছরে দুধের প্রাপ্যতা বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ, এখন জনপ্রতি প্রাপ্যতা ১৬৫ মিলি। দশ বছর আগে ডিমের প্রাপ্যতা ছিল বছরে জনপ্রতি ৪০টি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা উন্নীত হয়েছে ১০৪টিতে। এসব কার্যক্রমের ফলে এদেশের মানুষের প্রয়োজনীয় প্রাণিজ আমিষ ও পুষ্টিকর খাদ্যের ঘাটতি এখন ক্রমশঃ হ্রাস পাচ্ছে। এ ঘাটতি শূন্যের কোটায় আনয়ণের লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় সর্ববৃহৎ প্রকল্প (এলডিডিপি) গ্রহণ করেছে।’তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ মাংস ও গবাদিপশু উৎপাদনেও স্বয়ংসম্পূর্ণ। ফলে বিদেশ থেকে মাংস আমদানির কোন প্রয়োজন নেই।
আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মাছ আহরণে বাংলাদেশ তৃতীয় স্থান এবং বদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে; মাথাপিছু দৈনিক মাছ গ্রহণের পরিমাণ চাহিদার চেয়ে (৬০ গ্রাম) বৃদ্ধি পেয়ে ৬২.৫৮ গ্রামে উন্নীত হয়েছে। এছাড়া দুধ, মাংস ও ডিমেও আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠার পথে। বর্তমান সরকার নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। খাদ্যে মাত্রারিক্ত বিষ নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে ক্ষতিকর খাদ্য এমবিএম আমদানি নিষেধ করা হয়েছে এবং অত্যন্ত কঠোরভাবে তা তদারকি করা হচ্ছে। এসময় তিনি পোল্ট্রি ও প্রাণিসম্পদে অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রারিক্ত ব্যবহার ও অপব্যবহার রোধে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ লাইভস্টক সোসাইটির সভাপতি প্রফেসর মো. জালাল উদ্দিন সরদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মো. শহিদুর রহমান খান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. আবদুল জব্বার শিকদার এবং বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার।