বাজিস-৭ চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস ৭ ডিসেম্বর

130

বাজিস-৭
চুয়ডাঙ্গা- মুক্ত দিবস
চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস ৭ ডিসেম্বর
চুয়াডাঙ্গা , ৭ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : আজ ৭ ডিসেম্বর। চুয়াডাঙ্গা হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এদিনে শত্রুমুক্ত হয় চুয়াডাঙ্গা। বাঙালির ইতিহাসে গৌরবময় অধ্যায় মুক্তিযুদ্ধ। আর এ যুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার মুক্তিবাহিনী অবদান ছিলো অপরিসীম। দিবসটিকে ঘিরে নানা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
স্বাধীনতার সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত ভারত সীমান্তবর্তী এ চুয়াডাঙ্গার রয়েছে গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন দক্ষিণ পশ্চিম রণাঙ্গনের হেড কোয়ার্টার স্থাপন করা হয় এখানে। এ জেলা থেকেই কার্যক্রম শুরু করে তৎকালিন রেডক্রস বর্তমান রেডক্রিসেন্ট। ১৯৭১ সালে ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার পর চুয়াডাঙ্গায় সর্বপ্রথম ২০৪ জন মুজাহিদ ও আনসারকে একত্রিত করা হয়। ৬ ডিসেম্বর পাকবাহিনী মেহেরপুর থেকে ২৮ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে চুয়াডাঙ্গায় আসে। এদিকে চুয়াডাঙ্গার মুক্তিবাহিনীরা দর্শনার মিত্রবাহিনীর সাথে যোগ দিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের দিকে অগ্রসর হয়। খবর পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় শহরের মাথাভাঙ্গা ব্রিজে বোমা মেরে উড়িয়ে দেয় হানাদার বাহিনী। কিন্তু দর্শনা থেকে আসা মিত্রবাহিনী ও চুয়াডাঙ্গার মুক্তিবাহিনী পৌছুলে ৭ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনী চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা ছেড়ে কুষ্টিয়ার দিকে চলে যায়। শত্রুমুক্ত হয় চুয়াডাঙ্গা। সেদিনের সেই গৌরবময় দিনের কথা জানালেন মুক্তিযোদ্ধারা।
এ জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের বহু স্মৃতি চিহ্ন। বর্তমান সরকার ২০১৩ সালে জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলায় একাত্তরের গণহত্যার স্মারক বধ্যভূমি সংস্কার করে। জেলা শহরের শহীদ হাসান চত্বরে স্থাপন করা হয়েছে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামফলক। দিবসটিকে ঘিরে নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড।
বাসস/সংবাদদাতা/১৩-৪৭/নূসী