রাজধানীতে নিরাপদ সবজির হাটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী : পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে

582

ঢাকা, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক নিরাপদ ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাদ্য নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্যের জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টি করা বেশি প্রয়োজন।
কৃষিমন্ত্রী আজ শুক্রবার রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সেচ ভবনে ‘বঙ্গবন্ধু কৃষকের বাজারে’ প্রান্তিক কৃষকের সরাসরি বাজারজাতকৃত নিরাপদ সবজির হাটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
কৃষির উন্নয়নে ও গবেষণায় সাফল্যের ফলে দেশ আজ খাদ্যে উদ্বৃত্ত এ কথা উল্লেখ করে ড.রাজ্জাক বলেন, ‘কৃষক দরদি প্রধানমন্ত্রী’র প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা ও সময়োপযোগি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে কৃষি আজ বাণিজ্যিক কৃষি হয়ে উঠেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যার কৃষকের প্রতি যে দরদ তার প্রমাণ আবারও রেখেছেন ৫ম বারের মত সারের মূল্য হ্রাস করে। এটি বঙ্গবন্ধু’র কন্যার পক্ষেই সম্ভব। এখন আমাদের লক্ষ্য নিরাপদ ও পুষ্টিমান সম্পন্ন খাদ্য নিশ্চিত করা। এই লক্ষকে সানে রেখে আজকে নিরাপদ সবজির জন্য কৃষকের বাজারের আয়োজন।’
তিনি বলেন বিগত এক বছর ধরে এসব কৃষককে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে তাদের উৎপাদিত পণ্য এই হাটে ভোক্তাদের জন্য আনা হয়েছে। এই বাজারে বিক্রির জন্য যে সব সবজি আনা হয়েছে এতে কোন ধরনের সার বা কিটনাশক ব্যবহার করা হয়নি,বলাচলে এগুলো নিরাপদ সবজি।
কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহপরিচালক ড. মোঃ আব্দু মূঈদ ও বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (ফাউ) বাংলাদেশের প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন।
অন্যান্যের মধ্যে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ইউসুফ ও বিএডিসি’র চেয়ারম্যান মেঃ সাইদুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
ড.রাজ্জাক বলেন, কৃষির উন্নয়নের ওপর নির্ভর করে শিল্পের উন্নয়ন। কৃষিজাত পণ্যের প্রক্রিয়াজাত শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানসহ এ শিল্প প্রসার ঘটাতে হবে। তিনি বলেন, এ বছর এই হাটে ভোক্তাদের যে সাড়া পাওয়া গেছে তাতে আগামীতে আরও বড় পরিসরে এই হাটের আয়োজন করা হবে।
প্রতিটি উপজেলায় দু’টি করে গ্রামকে নিরাপদ সবজির গ্রাম হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি জেলার বাজারে একটি করে নিরাপদ সবজি কর্ণার থাকবে,যেখানে চাষী নিরাপদ সবজি বিক্রি করবে। এতে করে কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবেন।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এবাজার সাত দিন করে করা হবে। কারণ এ বাজারের পণ্যের মানের তদারকি করছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
কৃষি সচিব বলেন, পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাওয়া কৃষকের অধিকার। সরকার কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। বিএডিসি ৮০ হাজার কন্ট্রাকট ফার্মারের মাধ্যমে নিরাপ খাদ্য উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে। এটি আধুনিক কৃষির পথচলার শুরু।
বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন কূটনৈতিক পাড়ায় এরকম একটি হাটের ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ জানান।
মেলার উদ্বোধনের পরে মন্ত্রী মেলার স্টল পরিদর্শন করেন এবং স্টলের কৃষক ভাইদের সাথে কথা বলেন।