বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪ : উর্বর কৃষি জমি নষ্ট না হয়, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

136

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪
শেখ হাসিনা – বাণী
উর্বর কৃষি জমি নষ্ট না হয়, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ( বাসস ) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অধিক ফসল উৎপাদন ও মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় জমিতে সুষম সার প্রয়োগ গুরুত্বপূর্ণ। শিল্পায়ন ও নগরায়নের ফলে যাতে উর্বর কৃষি জমি নষ্ট না হয়, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।
ভূমি ক্ষয়রোধে গবেষণার পাশাপাশি উদ্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহ ব্যবহারের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, মাটির স্বাস্থ্যের সঙ্গে মানবস্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিবিড়। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন টেকসই মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের কৃষি এখন ‘খরপোশ কৃষি’ থেকে বাণিজ্যিক কৃষিতে উত্তরণের ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি উৎপাদিত কৃষিপণ্যের গুণাগুণ বজায় রাখার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে।”
প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস-২০১৯ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বানীতে,আশা করেন বিশ্ব মৃত্তিকা দিবসে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে মৃত্তিকার ক্ষয়রোধ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি হবে।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘আমাদের ভবিষ্যৎ, মৃত্তিকার ক্ষয়রোধ’ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ফসল উৎপাদন ও জীববৈচিত্র রক্ষায় মৃত্তিকা সম্পদের অবদান অনস্বীকার্য। মাটির ক্ষয় টেকসই কৃষি উন্নয়নের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের পার্বত্য এলাকার ১২ শতাংশ ভূমির বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার জন্য মানবসৃষ্ট ভূমিক্ষয় সহনশীল পর্যায়ে রাখা জরুরি।
যে কোন প্রযুক্তি ব্যবহারে ঐ অঞ্চলের জীববৈচিত্রকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং কোন প্রযুক্তি যাতে জীববৈচিত্রের জন্য হুমকি না হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার কথাও বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন , “বর্তমান সরকার বিভিন্ন সেক্টরে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জন করেছে। আমরা কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছি, যা বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজর কেড়েছে। ফসল চাষের নিবিড়তা বৃদ্ধি পেয়েছে, খাদ্যে উৎপাদন বেড়েছে কয়েক গুণ। বাড়তি ফসল উৎপাদনের ফলে মাটির ওপর চাপ বাড়ছে। এসব উন্নয়নকে টেকসই করার জন্য আমরা এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) অর্জনে কাজ করছি।”
বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি উৎপাদিত কৃষিপণ্যের গুণাগুণ বজায় রাখার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ জন্য আমরা ভূমি ক্ষয়রোধে গবেষণার পাশাপাশি উদ্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহ ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছি।”
প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস উপরক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
বাসস/তবি/কেসি/১৯২৩/আসচৌ