বাসস দেশ-২৫ : পলাতক খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করা হবে

135

বাসস দেশ-২৫
ঘাতক দালাল-আলোচনা
পলাতক খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করা হবে
ঢাকা, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : রাজধানীতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, বিদেশের মাটিতে পালিয়ে থাকা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করতে হবে।
আজ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে একাত্তরের দালাল নির্মূল কমিটির সহায়ক কমিটি আয়োজিত ‘বাঙালির অহংকার ও ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর কোন হত্যাকারীকে বিদেশে পালিয়ে থাকতে দেওয়া হবে না।যেকোন মূল্যেই তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করা হবে।এইসব খুনীদের বিচারের মাধ্যমে বাংলাদেশ দালালমুক্ত করে গড়ে তোলার দৃঢ় অঙ্গীকার করার আহবানও জানান বক্তারা।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল চিকিৎসা সহায়ক কমিটির সভাপতি এবং হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা:উত্তম কুমার বড়–য়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা:দীপুমনি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন,তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা:মো: মুরাদ হাসান,বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা:মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।
অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তৃতা করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির।
এতে আলোচক ছিলেন, কমিটির সহ-সভাপতি শহীদজায়া শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী, ইন্সটিটিউট অব কনফ্লিক্ট,ল’এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুর রশীদ(অব:)।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন,স্বাধীনতা বিরোধী একটি চক্্র ১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির হত্যা করতে চেয়েছিল।তারা সুষ্ঠু রাজনীতির নামে স্বাধীনতার বিপক্ষে অপরাজনীতি করে দেশকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করার চেষ্টায় মেতেছিল।
তিনি বলেন, এই অপশক্তিদের ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। ইদানিং তারা কৌশলে দেশের বিভিন্ন গনমাধ্যমে ‘টক-শো’ তে প্রতিদিন স্বাধীনতার পক্ষে কিংবা বিপক্ষে আলোচনা করছে। তারা একটা দূরভিসন্ধি নিয়ে এগোচ্ছে। এইসব অপশক্তিকে এধরনের কার্যক্রম থেকে অচিরেই প্রতিহত করতে হবে।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্ম যোগ্য হয়ে গড়ে উঠছে। পাকিস্তানী দালালরা কিভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার নীল নকশা তৈরি করেছিল এবং দেশের মানুষকে কিভাবে বিভ্রান্ত করেছিল তা নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে।
তিনি বলেন, পাকিস্তানী চর এইসব দালালদের জাতি ক্ষমা করবে না।বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের মাস্টারমাইন্ড খুনী জিয়াউর রহমান এবং খন্দকার মুশতাকের কুকীর্তি সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতে এবং বাঙালির দায়মুক্তির জন্য শিগগিরই উচ্চমান সম্পন্ন কমিশন গঠন করে এদের মরনোত্তর বিচার দেশের মাটিতে করতে হবে।আমরা জিয়াউর রহমান নামক অভিশাপ থেকে দেশকে মুক্ত করতে চাই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, দেশ এগিয়েছে। আরো এগোবে।কিন্তু ৭১ এর ঘাতক দালালদের বিচার করার মধ্যদিয়ে জাতি দায়মুক্ত হবে।
শাহরিয়ার কবির বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধকে,মুক্তিযোদ্ধাকে এবং শহীদদেরকে অবমাননা করে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।তাদের শাস্তির জন্য কঠোর আইন প্রণয়ন করা হবে। আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের আইন কমিশনের সাথে বৈঠক করেছি। আমাদের প্রস্তাব অনুসারে ইতিমধ্যেই ‘মুক্তিযুদ্ধের অস্বীকার অপরাধ আইন’ তৈরি করে এ মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে।এ বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বাসস/এএসজি/এসএস/১৮৫০/কেকে