বাসস দেশ-৯ : রানা প্লাজা ধসের পর বস্ত্রখাত নতুন করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে : গোলাম দস্তগীর গাজী

91

বাসস দেশ-৯
বস্ত্রমন্ত্রী-র‌্যালি
রানা প্লাজা ধসের পর বস্ত্রখাত নতুন করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে : গোলাম দস্তগীর গাজী
ঢাকা, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেছেন, রানা প্লাজা ধসের পর বস্ত্রখাতে যে ক্ষতি হয়েছিল তা কাটিয়ে এই শিল্প নতুন করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের অধিকাংশ পোশাক শিল্প শতভাগ কমপ্লায়েন্স হিসেবে গড়ে উঠেছে। তৈরি পোশাক শিল্পে বিশ্বের প্রথম ১০টি উন্নতমানের সবুজ কারখানা (গ্রীন ফ্যাক্টরী)’র মধ্যে সাতটির অবস্থান বাংলাদেশে।
গোলম দস্তগীর গাজী আজ সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে “জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০১৯” উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
‘বস্ত্রখাতের বিশ্বায়ন, টেকসই উন্নয়ন’, এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে এই দিবসটি।
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, দেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যেতে বস্ত্রখাত প্রধান রপ্তানী খাত হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমাদের বস্ত্রখাত আন্তর্জাতিক মানদন্ড বজায় রেখে এগিয়ে চলছে।
তিনি বলেন, বিশ্বের যে কোনো উন্নত দেশের সাথে বাংলাদেশের বস্ত্রখাত প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা অর্জন করেছে। এটি ধরে রাখতে হলে বস্ত্রখাতে বাংলাদেশকে বিভিন্ন ধরনের বৈচিত্রময় পণ্যের (ডাইভারসিফাই প্রোডাক্ট) উৎপাদন বাড়াতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, একইসঙ্গে আমাদের হাই ভ্যালু প্রোডাক্ট তৈরি করে এই খাতকে আরো এগিয়ে নিতে হবে। তাহলেই দেশের বস্ত্রখাত দ্রুতসময়ের মধ্যে সারাবিশ্বের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করতে পারবে।
র‌্যালীতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়াসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় বস্ত্র দিবস উপলক্ষে সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে আয়োজিত এই বর্ণাঢ্য র‌্যালির আয়োজন করা হয়। মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী ও সচিব লোকমান হোসেন মিয়া এই র‌্যালির নেতৃত্ব দেন।
র‌্যালিটি সকাল ৯ টায় মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে শুরু হয়ে খামারবাড়ী মোড় ঘুরে আবার মানিক মিয়া এভিনিউতে গিয়ে শেষ হয়।
র‌্যালির শুরুতে শান্তির প্রতীক কবুতর ও বেলুন ওড়ানো হয়। নানা ধরনের ফেস্টুন, ব্যানার নিয়ে বস্ত্রখাতের অংশীজনেরা অংশগ্রহণ করেন।
বাসস/সবি/এমএএস/১৬৩৫/কেকে