২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে মাঠ পর্যায়ের সকল অফিসে কর্মসম্পাদন চুক্তি সম্প্রসারণের উদ্যোগ

185

ঢাকা, ৩ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরে মাঠ পর্যায়ের সকল কার্যালয় পর্যন্ত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
আগামীকাল সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে সকল মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন।
আজ সকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এই দপ্তরের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব এন. এম জিয়াউল আলম এক সাংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা জানান।
এন. এম জিয়াউল আলম বলেন, সরকারের কর্মকান্ডের স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সীমিত সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় ২০১৪-১৫ সাল থেকে ‘বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি’ প্রবর্তণ করা হয়।
তিনি বলেন, সরকারের ঘোষিত নীতি ও পরিকল্পিত কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঈপ্সিত লক্ষ্য অর্জন নিশ্চিত করণের ফলে গত দুই অর্থ বছরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে কর্মসূচি বাস্তবায়নের গড় হার ৯১ শতাংশের বেশি অর্জিত হয়েছে। মন্ত্রণালয়গুলির মধ্যে ২০১৬-১৭ অর্র্থ বছরে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ৮০ থেকে ৯৯ শতাংশ নম্বরও পেয়েছে। এপিএ চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে সরকারের কাজে বেশ গতি পেয়েছে।
তিনি বলেন, এপিএ চুক্তিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আবশ্যিক ও কৌশলগত উদ্দেশ্যের আওতায় গৃহীত কার্যক্রমের ফলাফল পরিমাপের জন্য কর্ম সম্পাদন সূচক ও লক্ষ্যমাত্রা প্রণয়ণে ৩টি পৃথক নীতিমালা ও নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছর থেকে মাঠ পর্যায়সহ সরকারের সকল অফিসে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হচ্ছে। এছাড়া বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি অনলাইনে দাখিল ও যথাযথ পরিবীক্ষণের নিমিত্ত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার (এপিএএমএস) সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরেও রূপকল্প ২০২১, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ( এসডিজি) , ৭ম পঞ্চবার্ষিককর্ম পরিকল্পনাসহ প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত প্রকল্প, পিপিপি-এর আওতায় গৃহীত প্রকল্প এবং সরকারের সার্বিক উন্নয়ন-অ গ্রাধিকারের সঙ্গেসামঞ্জস্য রেখে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও তাদের আওতাধীন অধিদপ্তর/সংস্থা এবং মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়সমূহ চুক্তি সম্পাদন করবে।
এছাড়া, ২০১৮-১৯ অর্থবছর সমাপ্ত হওয়ার পর উক্ত অর্থবছরের চুক্তিতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাসমূহের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রকৃত অর্জন মূল্যায়ন করা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার ইউনিট বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি প্রণয়ন ওবাস্তবায়নে সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে সার্বিক সহযোগিতা করে থাকে। এ বিষয়ে নীতিমালার আলোকে চুক্তি সম্পাদন হয়েছে কিনা তার জন্য গঠিত কারিগরি কমিটি বিভিন্ন সময় ১৬ টি পর্যালোচনা সভা করেছে।