এইচআইভি প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে : কনক কান্তি বড়ুয়া

323

ঢাকা, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস): বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া এইচআইভি প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিল্টন হলে ‘এইডস নির্মূলে প্রয়োজন জনগণের অংশগ্রহণ’ শীর্ষক এক সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন উপাচার্য।
এইচআইভি বা এইডস-এ আক্রান্তদের মুত্যুহার শূন্যের কোটায় নিয়ে আসতে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,এইচআইভি আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্য সেবায় কাজ করছে সরকার । এ ধরনের রোগীদের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয়ে সংশ্লিষ্ট সকল মানুষকে র‌্যাপিড টেস্টের আওতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিএসএমএমইউয়ের পরিচালক (হাসপাতাল) ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক ব্রিগে. জেনারেল ডা. এ কে মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো:শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (ন্যাশনাল এইডস এসটিডি কন্ট্রোল) আমিনুল ইসলাম মিয়া।আরো উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান,প্রক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ,অবস এন্ড গাইনী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. তৃপ্তি রাণী দাস, সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সালেহা বেগম চৌধুরী প্রমুখ।
বিএসএমএমইউ সূত্র জানায়,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগে ১৯৮৯ সালে এইচআইভিতে আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয়ে প্রথম এইচআইভি সনাক্ত করা হয় এবং বর্তমানে তা অব্যাহত আছে।সরকারী পর্যায়ে প্রথম বারের মতো ২০১৩ সাল থেকে এইচআইভি আক্রান্ত গর্ভবতী মায়েদের সেবা প্রদান করেছে।এ পর্যন্ত মোট ৯১ জন গর্ভবতী মা এই সেবার অধীনে রয়েছেন।প্রায় ২৯ হাজার ৮ শত ৯২ জন গর্ভবতী মায়েদেরকে পরীক্ষায় মাধ্যমে ৯১ জনের এইচআইভি পজেটিভ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ৭৫ জন এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত গর্ভবতী মা সন্তান প্রসব করেছেন। তাদের মধ্যে দেশে নতুন ৬৯ জন শিশুকে এইচআইভি সংক্রমণ থেকে প্রতিরোধ বা রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।২০১৭ সাল থেকে এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বিনামুল্যে এআরভি প্রদান ও সকল রোগের যথাযথ চিকিৎসা সেবার পথ উন্মুক্ত হয়েছে। এপর্যন্ত ১২৫৯ জন রোগী এআরভি নিয়েছেন।