বাসস রাষ্ট্রপতি-২ : প্রতিবন্ধীদের জীবনমান উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান রাষ্ট্রপতির

146

বাসস রাষ্ট্রপতি-২
রাষ্ট্রপতি- প্রতিবন্ধী দিবস
প্রতিবন্ধীদের জীবনমান উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান রাষ্ট্রপতির
ঢাকা, ২ ডিসেম্বর ২০১৯ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জীবনমান উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সুশীল সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ২৮তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২১তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস ২০১৯ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি এ উপলক্ষে নবনির্মিত ১৫ তলা বিশিষ্ট জাতীয় প্রতিবন্ধী কমপ্লেক্স ‘সুবর্ণ ভবন’ এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজনকেও স্বাগত জানান।
তিনি বলেন, সমাজে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ, মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতীয় প্রতিবন্ধী কমপ্লেক্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, এবারের আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘অভিগম্য আগামীর পথে’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে জাতীয় প্রতিবন্ধী কমপ্লেক্স নির্মাণসহ ইতোমধ্যে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩, ‘নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন, ২০১৩’, ‘রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল অ্যাক্ট, ২০১৮’ ও ‘প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা, ২০১৯’ প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এছাড়া সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জীবনমান উন্নয়নে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় অসচ্ছ্বল প্রতিবন্ধী ভাতা, প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি, সমন্বিত প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রম, বিশেষ শিক্ষা কার্যক্রম, থেরাপি সহায়তা ইত্যাদির মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সামাজিক নিরাপত্তা প্রদানসহ তাদের উন্নয়নে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। সরকারের এ সব উদ্যোগ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মানসিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ জীবন গঠনের পথকে প্রসারিত করছে।
আবদুল হামিদ বলেন, দেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মেধা ও সৃজনশীলতাকে কাজে লাগাতে হবে। উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সুযোগ পেলে তারাও দক্ষতা ও পারদর্শিতার সাথে দেশের উন্নয়নে অংশ নিতে পারে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মানসিক বিকাশে বিভিন্ন পারিবারিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিবন্ধীদের সুন্দর ও স্বাভাবিক পরিবেশে বেড়ে উঠার সুযোগ করে দিতে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস অব্যাহত থাকবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।
বাসস/তবি/এমআর/১৯১১/-কেএমকে