বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে : প্রধানমন্ত্রী

270

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
প্রধানমন্ত্রী-সংবর্ধনা
দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে : প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের কল্যাণে তাঁর সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, প্রবাসীদের উৎসাহিত করতে রেমিট্যান্টস পাঠালে সরকার ২ শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে।
বিএনপি সরকারের লাগামহীন দুর্নীতি, সন্ত্রাস, লুটপাট ও অর্থ পাচারের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ওই সময় গোটা দেশ এক নৈরাজ্যকর অবস্থা প্রত্যক্ষ করেছে।
বিএনপি ওই সময়ে তাদের অপকর্মের মাধ্যমে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান, এইচ এম এরশাদ এবং খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ক্ষমতায় বসিয়ে তাদেরকে পুরস্কৃত করেছে।
বিএনপিকে ভোট জালিয়াতির মাস্টার হিসেবে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা ‘হ্যাঁ-না’র রাষ্ট্রপতির নির্বাচন, ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন, ঢাকা-১০, মিরপুর এবং মাগুরা উপনির্বাচনের মতো জালিয়াতির নির্বাচন করেছে। তারাই ভোট জালিয়াতির মাস্টার। আবার এখন তারা নীতিকথা শোনাচ্ছে!
বিগত এক দশকে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন , বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত এবং বিশ্বে উন্নয়নের রোলমডেলে পরিণত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জিডিপি’র হার ৮ দশমিক ১৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে এবং দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ২১ শতাংশে নেমে এসেছে। আমরা প্রত্যেক জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছানোর লক্ষ্যে কাজ করছি এবং আমরা চাই যে, একটি বাড়িও অন্ধকারে থাকবে না।
তিনি বলেন, উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রেখে আমরা ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করবো।
স্পেনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।
এ সময়ে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো: শাহাবউদ্দিন।
প্রধানমন্ত্রী কপ-২৫’র রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে রোববার বিকেলে এখানে পৌঁছেন।
বাসস/এসআই/অনুবাদ-এমএসআই/১১২০/এমএসআই