কুষ্টিয়ায় জোড়া খুনের মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদন্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

204

কুষ্টিয়া, ১ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস): ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়ার স্কুল শিক্ষক মুজিবুর রহমান ও তার ভাই মিজানুর রহমানকে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ৪ আসামীকে মৃত্যুদন্ড এবং ৭ জনকে যাবজ্জীবন ও অপর একজনকে ১০ বছরের কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
আজ সকালে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মো: মশিয়ার রহমান এই দন্ডাদেশের রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদন্ড দন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছে, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে কমল হোসেন মালিথা, ফকিরাবাদ গ্রামের কাবুল প্রামাণিকের ছেলে কামরুল প্রামাণিক ও সুমন প্রামাণিক ও একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে নয়ন শেখ।
যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছে- ভেড়ামারা উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামের ছের আলী শেখের ছেলে নজরুল শেখ ও আব্দুর রহিম ওরফে লালিম শেখ, একই গ্রামের আকুল মন্ডলের ছেলে মাহফুজুর রহমান, বেনজির প্রামাণিকের ছেলে হৃদয় আলী, নাজির প্রামাণিকের ছেলে স¤্রাট আলী প্রামাণিক, গোলাপনগর গ্রামের মৃত নূরুল হক মালিথার ছেলে জিয়ারুল ইসলাম ও আশরাফ মালিথা। এছাড়াও আরিফ মালিথা নামে এক আসামীকে ১০ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
এছাড়াও দন্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত ও ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্তকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডে রায় দেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল বাদী জাহারুল ইসলামের ভাতিজা আশরাফুজ্জামান রতনের সপ্তম শ্রেণী পড়–য়া মেয়েকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় আসামীরা হামলা করে স্কুল শিক্ষক মুজিবর রহমানকে ঘটনাস্থলে হত্যা করে এবং তার ভাই মিজানুর রহমানকে রক্তাক্ত জখম করে। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় নিহত স্কুল শিক্ষক মুজিবর রহমানের ছেলে জাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় মামলা দায়ের করেন। ভেড়ামারা থানা পুলিশ ২০১৭ সালের ৯ মে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে।