বাসস দেশ-৩৪ : বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও ফাইনাল পরীক্ষার পূর্বে ডোপ টেষ্ট চালুর সুপারিশ

121

বাসস দেশ-৩৪
কমিটি-স্বরাষ্ট্র
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও ফাইনাল পরীক্ষার পূর্বে ডোপ টেষ্ট চালুর সুপারিশ
ঢাকা, ১ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় মাদকমুক্ত শিক্ষিত জাতি গড়তে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং ফাইনাল পরীক্ষার পূর্বে শিক্ষার্থীদের ডোপ টেষ্ট চালুর সুপারিশ করা হয়েছে।
সংসদ ভবনে আজ কমিটির সভাপতি মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সদস্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, মো. আফছারুল আমীন , মোঃ হাবিবর রহমান, সামছুল আলম দুদু, পীর ফজলুর রহমান এবং সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভায় কমিটির ৮ম বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশ-ভারত এবং বাংলাদেশ মায়নমার সীমান্তে বিজিবির অভিযান কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধার্থে শূণ্য লাইন হতে ১ কিঃমিঃ এর বাইরে বিদ্যমান ১২৬ টি বিওপি সীমান্তের সন্নিকটে স্থানান্তরের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে ।
এসব বিওপি স্থানান্তরের ফলে পরিত্যক্ত ঠাকুরগাঁও,সুনামগঞ্জ , কুমিল্লা এবং ফেনী জেলার সীমান্ত এলাকায় ৪টি পরিত্যক্ত বিওপিকে স্থায়ী কমিটির সুপারিশের আলোকে “বঙ্গবন্ধু শিক্ষা নিকেতনে রূপান্তরের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়াও সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত জনসাধারণের বেকারত্ব দূর, চোরাচালান রোধ ও সীমান্ত অপরাধ থেকে মুক্ত রেখে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় বিজিবির উদ্যোগে “আলোকিত সীমান্ত” প্রকল্প চালু করে ৫০ জন নাগরিককে প্রকল্পের মাধ্যমে সেবা দিয়ে স্বাবলম্বী করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
সভায় দেশের সাইবার ক্রাইম সম্পর্কে আলোচনা হয় এবং পুলিশ বিভাগের সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে আরো শক্তিশালী করতে তাদেরকে যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে সক্ষমতা অর্জনের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেয়া হয়। পাশাপাশি অত্যাধুনিক সাইবার যন্ত্রপাতি স্থাপনের মাধ্যমে এ ইউনিটকে আরো কার্যকরী করার জন্য মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
সভায় ডোপ টেস্ট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যের উপস্থিতিতে এ আলোচনায় কমিটি দেশকে মাদকের অভিশাপ থেকে মুক্ত রাখতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার ওপর জোর দেয়া হয়।
সভায় কারা অধিদপ্তর, পুলিশ হাসপাতাল, বিজিবি, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় ডাক্তার নিয়োগ এবং তাদের জন্য সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির বিষয় নিয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়ণের সুপারিশ করা হয়। সাথে সাথে কারাগারে মেডিকেল ইউনিট খোলার সুপারিশ করা হয়।
আতœসমর্পণ করা অপরাধী বা সন্ত্রসীদের কার্যক্রম মনিটর করার ওপর জোর দেয়া হয়। শৃংখলা বাহিনীর কোন সদস্য যাতে কোনভাবেই কোন অপরাধ কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত হতে না পারে সে বিষয়গুলো মনিটর করতে সংশ্লিষ্টদের তৎপর থাকতে পরামর্শ দেয়া হয়।
সভায় ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম নিয়ে একটি মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন করা হয়। ফায়ার সার্ভিসকে আরো কার্যকরী করতে একটি অত্যাধুনিক ফায়ার সার্ভিস ট্রেনিং একাডেমী নির্মাণের সুপারিশ করা হয়।
সভায় জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোঃ শহীদুজ্জামানসহ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রধান এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/সবি/এমআর/১৮৫০/শআ