বাসস দেশ-৩২
প্রশ্নপত্র ফাঁস-গ্রেফতার
রাজধানীতে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সাত সদস্য গ্রেফতার
ঢাকা, ১ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস): রাজধানীর কাফরুল ও লালবাগ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি-মিডিয়া) মো. মাসুদুর রহমান বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত ২৯ ও ৩০ নভেম্বর রাজধানীর কাফরুল ও লালবাগ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশের সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।
মাসুদুর রহমান বলেন, গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- মো: মাহমুদুল হাসান আজাদ (৩৬), মো: নাহিদ (২৫), মো: রাসেল আলী (২৯), মো: রুহুল আমীন (২৫), মো: খালেকুর রহমান টিটু (২৯), মো: আহমেদ জুবায়ের সাইমন (২৬) ও মো: ইব্রাহিম (২৪)।
মাসুদুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিসিএস ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি করে আসছিল এই চক্রটি। তারা কানে অতিক্ষুদ্র ইয়ারপিস ও শরীরে রাবার দিয়ে আটকানো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে হলের বাইরে থেকে ডিভাইসে প্রশ্নের উত্তর সরবরাহ করতো। পরীক্ষার্থীরা কানে লাগানো ইয়ারপিসে উত্তর শুনে তা হুবহু লিখতো উত্তরপত্রে।
ডিসি মিডিয়া বলেন, তাদের কাছ থেকে ১২টি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, ১৬টি মাইক্রোহেডফোন, ১৫টি মোবাইল ফোন, ২৫টি সিম কার্ড, রাবারের আর্ম ব্যান্ড ও বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সামধানের জন্য ব্যবহৃত ৪ টি বই উদ্ধার করা হয়।এছাড়া অতিক্ষুদ্র ইয়ারপিস ও কালো রঙের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস জব্দ করা হয়েছে।
মাসুদুর রহমান আরো বলেন, তারা পরীক্ষার্থীর মাধ্যমে পরীক্ষা কেন্দ্র হতে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্ন হলের বাইরে নিয়ে আসে, সেই প্রশ্ন এক্সপার্ট গ্রুপ দিয়ে সমাধান করে ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীর কাছে সরবরাহ করে।
তিনি বলেন, সরকারি বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষাসহ স্কুল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় টাকার বিনিময়ে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্নের উত্তর সরবররাহ করতেন। চাকরির ধরণ বুঝে টাকার পরিমাণ ৫ থেকে ১৫ লাখ নিতো এই চক্র।
তিনি আরো বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে এই চক্র পরীক্ষার প্রার্থী নির্বাচন, ডিভাইস সরবরাহের প্রক্রিয়া,প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং সমাধানের প্রক্রিয়া ইত্যাদি আলোচনা করে।
বাসস/সবি/এমএমবি/১৮৩৫/কেকে