বাসস ক্রীড়া-৩ : ইউরোর গ্রুপিং চূড়ান্ত; ফ্রান্স, পর্তুগাল, জার্মানী একই গ্রুপে

128

বাসস ক্রীড়া-৩
ফুটবল-ইউরো ২০২০
ইউরোর গ্রুপিং চূড়ান্ত; ফ্রান্স, পর্তুগাল, জার্মানী একই গ্রুপে
বুখারেস্ট, ১ ডিসেম্বর ২০১৯ (বাসস) : ইউরো ২০২০’র গ্রুপিং ও সূচি গতকাল চূড়ান্ত হয়েছে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স ও বর্তমান ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল লড়বে একই গ্রুপে। গ্রুপ-এফ’র তাদের সাথে আরো রয়েছে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানী। ইতোমধ্যেই এই গ্রুপকে ডেথ গ্রুপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আগামী বছর জুনে প্রথমবারের মত ইউরোপের ভিন্ন ১২টি শহরে ইউরোপীয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর শুরু হতে যাচ্ছে। ১২ জুন রোমে শুরু হয়ে ১২ জুলাই লন্ডনে ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
মিউনিখ একটি ভেন্যু হওয়ায় জার্মানী তাদের সবগুলো গ্রুপ ম্যাচই এখানে খেলবে। আগামী ১৬ জুন ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে জোয়াকিম লোয়ের দল ইউরো মিশন শুরু করবে। ২০ জুন লড়বে পর্তুগালের বিপক্ষে।
কাল বুখারেস্টে অনুষ্ঠিত ড্র অনুষ্ঠান শেষে ফেঞ্চ কোচ দিদিয়ের দেশ্যম বলেছেন, ‘এটাই সবচেয়ে কঠিন গ্রুপ। তবে আমাদের সবকিছুই মেনে নিতে হবে। এর অর্থ হচ্ছে আমাদের সবাইকে কঠিন লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে।’
আগামী মার্চে অনুষ্ঠিত প্লে-অফ থেকে একটি দল গ্রুপ-এফ’এ আসবে। সম্ভাব্য দল হিসেবে প্লে-অফে অন্যতম বিজয়ী হিসেবে হাঙ্গেরিকে বিবেচনা করা হচ্ছে। তারা যদি এই বাঁধা অতিক্রম করতে পারে তবে তাদের সবগুলো গ্রুপ ম্যাচই বুদাপেস্টে অনুষ্ঠিত হবে।
ইউরো ২০১৬’র সেমিফাইনালে নিজেদের মাঠে ফ্রান্স জার্মানীকে পরাজিত করে ফাইনালের টিকিট পেয়েছিল। তবে পর্তুগালের কাছে ফাইনালে পরাজিত হতে হয় ফ্রেঞ্চদের। লো অবশ্য এবারও ফ্রান্সকে এগিয়ে রেখেছেন। তার মতে, ‘ফ্রান্স বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, গত তিন থেকে চার বছরে তারা আরো বেশী শক্তিশালী হয়েছে। তারা অবশ্যই গ্রুপ ফেবারিট।’
এদিকে গ্রুপ-ডি’তে ইংল্যান্ডের সাথে লড়বে বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্র। গ্যারেথ সাউথগেটের দল তাদের গ্রুপ ম্যাচগুলো খেলবে ওয়েম্বলিতে। এছাড়া একটি সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচটিও এই মাঠেই অনুষ্ঠিত হবে। সার্বিয়া, নরওয়ে, ইসরাইল ও স্কটল্যান্ডের মধ্যে যেকোন একটি দল প্লে-অফের মাধ্যমে এই গ্রুপে অন্তর্ভূক্ত হবে। বাছাইপর্বেও ইংল্যান্ড চেকদের মোকাবেলা করেছিল। ওয়েম্বলিতে ৫-০ গোলে জয়ী হলের অক্টোবরে প্রাগে ২-১ গোলে হেরে গিয়েছিল সাউথগেট শিষ্যরা। আগামী ১৪ জুন ঘরের মাঠে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ইউরো মিশন শুরু করবে ইংল্যান্ড। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে পরাজিত হয়ে ফাইনালে খেলতে ব্যর্থ হয়েছিল ইংলিশরা। গ্রুপ পর্বে বিজয়ী হতে পারলেও ইংল্যান্ডকে গ্রুপ-এফ’র রানার্স-আপ দলের সাথে মোকাবেলা করতে হবে। শেষ ১৬’তে তাদের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হতে পারে জার্মানী, ফ্রান্স কিংবা পর্তুগাল। আর শেষ ১৬’র বাঁধা উতরে গেলে কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেন হতে পারে তাদের প্রতিপক্ষ।
ওয়েম্বলিতে খেলার বাড়তি কোন সুবিধা আছে কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে সাউথগেট বলেছেন, ‘অবশ্যই আট থেকে দশটি দল গ্রুপ পর্বে ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা পাবে। আমরাও তার ব্যতিক্রম নই। যদিও সেমিফাইনালে যেতে হলে নক আউট পর্বে আমাদের দু’টি বড় বাঁধা পার করতে হবে।’
টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে রোমে তুরষ্ককে আতিথ্য দিবে ইতালি। গ্রুপ-এ’র অপর দলগুলো হলো সুইজারল্যান্ড ও ইউরো ২০১৬’র সেমিফাইনালিস্ট ওয়েলস। ওয়েলস তাদের দুটি ম্যাচ খেলবে বাকুতে। ১৩ জুন প্রথম ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ সুইজারল্যান্ড। চলতি মাসেও বাছাইপর্বে তারা এই মাঠে আজারবাইজানের মুখোমুখি হয়েছিল।
গ্রুপ-ই’তে স্পেনের প্রতিপক্ষ সুইডেন, পোল্যান্ড ও প্লে-অফের একটি দল। লুইস এনরিকের দল তাদের ম্যাচগুলো ঘরের মাঠ বিলবাওতে খেলবে।
গ্রুপ-বি’তে লড়বে ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, রাশিয়া ও বেলজিয়াম। গ্রুপ-সি’তে রয়েছে নেদারল্যান্ড, ইউক্রেন, অস্ট্রিয়া ও প্লে-অফের একটি দল।
ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপের ৬০তম বার্ষিকীকে সামনে রেখে উয়েফা সারা ইউরোপা জুড়ে এবারের আসর অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যান্য ভেন্যুগুলোর মধ্যে আরো রয়েছে সেইন্ট পিটার্সবার্গ, কোপেনহেগেন, আমাস্টারডাম, বুখারেস্ট ও ডাবলিন।
বাসস/নীহা/১৬৪৫/স্বব