বাসস দেশ-৯ : ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় আনুষঙ্গিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হাইকোর্ট নির্দেশ

116

বাসস দেশ-৯
হাইকোর্ট-আদেশ
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় আনুষঙ্গিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হাইকোর্ট নির্দেশ
ঢাকা, ১ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিচালনায় প্রয়োজনীয় জনবল ও আনুষঙ্গিক (লজিস্টিক) সহায়তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
স্বরাষ্ট্র সচিবকে এ আদেশ বাস্তবায়নে আদেশ দেয়া হয়েছে।
ইতোপূর্বে দেয়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদেশের অনুলিপি পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে বিচারপ্রার্থীদের সরবরাহ নিশ্চিত করতে আদালত আজ এই আদেশ দেন।
আদালতের নির্দেশ অনুসারে আজ র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম আদালতে হাজির হন। তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রমে জনবল স্বল্পতার কথা জানান। এর প্রেক্ষাপটে আদালত ওই আদেশ দেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদেশের চার মাসেও প্রত্যয়িত অনুলিপি না পাওয়ার প্রেক্ষাপটে এক দন্ডিত ব্যক্তির করা রিটের শুনানিতে গত ১৮ নভেম্বর হাইকোর্ট এ বিষয়ে জানাতে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমকে ১ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ অনুসারে তিনি আজ আদালতে হাজির হন। আদালত তাঁর বক্তব্য শোনেন।
সারওয়ার আলমের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ হাসান চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি আদালতকে জানান, ইতোমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেয়া আদেশের কপি পেয়েছেন তাঁরা।
অন্যদিকে সারওয়ার আলমের পক্ষে তাঁর আইনজীবী মাসুদ হাসান চৌধুরী নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আর্জি পেশ করেন। শুনানির পর আজ আদালত পর্যবেক্ষণসহ রুলটি নিষ্পত্তি করে দেন।
সাজা দেয়ার ৪ মাস পরও অনুলিপি দেয়ার ক্ষেত্রে নিস্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে মো. মিজান মিয়া গত ১৭ নভেম্বর হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন।
বাসস/এএসজি/ডিএ/১৬৪৫/শআ