ভোলায় ওএমএস’র আটার চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে

222

ভোলা, ১ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : জেলায় সরকারিভাবে পরিচালিত ওএমএস’র (ওপেন মার্কেট সেল) খোলা বাজারে আটার চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। নির্ধারিত ডিলারের দোকানে প্রতিদিনই আটা ক্রয় করার জন্য নারী-পুরুষের ভিড় বাড়ছে। বাজারের দোকানের চেয়ে কম দামে খাদ্য অধিদপ্তর পরিচালিত ওএমএস দোকানে আটা ক্রয় করতে পেরে খুশি স্থানীয়রা। একজন ক্রেতার জন্য সর্বোচ্চ ৫ কেজি আটা বরাদ্দ রয়েছে ১৮ টাকা দরে।
জেলা খাদ্য অধিদপ্তরের সূত্র অনুযায়ী, খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত ভোলা পৌরসভার ১০ টি ওএমএস দোকান পয়েন্টে খোলা বাজারে আটা বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিটি ওএমএস পয়েন্টের দোকানে দৈনিক ১০০ জন গ্রাহকের কাছে সর্বোচ্চ ৫ কেজি করে বিক্রির জন্য ৫০০ কেজি করে আটা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। আর এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ ১৮ টাকা। সপ্তাহে ৬ দিন বিক্রি নিয়ম রয়েছে। সারা বছর এ আটার চাহিদা রয়েছে।
ক্রেতা আলম, মানিক ও হারুন জানান, ভোলার বাজারের এ আটার দাম ২৫ থেকে ৩০ টাকা। কিন্তু আমরা ওএমএস দোকান পয়েন্ট থেকে মাত্র ১৮ টাকা দামে ক্রয় করতে পারি। এতে আমাদের টাকা অনেক বেঁচে যায়। শাহিদা, আয়েশা, পারভিন ও হাফসানা জানান, বাজারের আটার চেয়ে এ আটা অনেক ফ্রেস। বাজারের আটার মধ্যে অনেক ভেজাল থাকে। কিন্তু ওএমএস দোকানের আটায় কোন ভেজাল নেই। এছাড়াও বাজারের চেয়ে দাম কম। এবং ওজনও ঠিকমত দেয়া হয়।
ভোলা খাদ্য অধিদপ্তরের অনুমোদিত ময়দার মিল খাঁন ফ্লাওয়ার মিল মালিক মোঃ জামাল উদ্দিন খাঁন জানান, ভোলার ১০টি ওএমএস দোকানের প্রতিদিন আমরা ৫ টন করে আটা সরবারাহ করি। আমরা মানুষের কথা চিন্তা করে কোন প্রকার ভেজাল ছাড়াই সম্পূর্ণ উন্নত ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে এ আটা তৈরি করে থাকি। যার কারণে বাজারের দোকানের বেশি দামের আটার চেয়ে এ আটা অনেক ভালো ও মান সম্মত হওয়ায় মানুষের কাছে চাহিদা অনেক বেশি।
ভোলা জেলার ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক তৌয়ুবুর রহমান জানান, ভোলায় ৫টি ওএমএস দোকানের দৈনিক ৫ টন আটা বিক্রির কথা থাকলেও সব মানুষের মাঝে সুন্দরভাবে এ আটা বিতরণের জন্য ১০ টি ওএমএস দোকান ডিলার রয়েছে। তারা সরকারি নির্ধারিত মূল্যে আটা বিক্রি করেন। ওজন ও ভেজালেও কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।