বাসস দেশ-১৬ : বধিরতা প্রতিরোধে দ্রুত চিকিৎসার বিকল্প নাই : ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত

164

বাসস দেশ-১৬
বধিরতা-চিকিৎসা
বধিরতা প্রতিরোধে দ্রুত চিকিৎসার বিকল্প নাই : ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত
ঢাকা, ৩০ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : বধিরতা প্রতিরোধে আগেভাগেই সনাক্তকরণ ও দ্রুত চিকিৎসার বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।
তিনি বলেন, ‘শিশুসহ সংশ্লিষ্ট সকলেরই যারা বধিরতার সমস্যায় আক্রান্ত তা যত দ্রুত চিহ্নিত করা যাবে সেটাই হবে রোগীর জন্য মঙ্গলজনক। এজন্য পরিবারের সদস্যদের আরো বেশি সচেতন হতে হবে। সচেতনতার পাশাপাশি মটিভেশনের উপরও গুরুত্ব দিতে হবে।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে সার্ক অটোল্যারিংগোলজিস্টস এসোসিয়েশনের উদ্যোগে ‘সার্ক অঞ্চলের বধিরতা প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, একজন মানুষ কানে শুনতে না পেলে সে সমাজের বোঝা হয়ে দাঁড়ায় এবং একটি শিশু মূল ¯্রােত ধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তাই বধিরতার বিষয়টি অবহেলা না করে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসাসেবা শুরু করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সন্তানদের বিষয়ে তাদের অভিভাবকদের আরো সচেতন হওয়া জরুরি।
সার্ক অটোল্যারিংগোলজিস্টস এসোসিয়েশনের (বাংলাদেশ চাপ্টার) সভাপতি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান তরফদারের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসোসিয়েশনের সদস্য অধ্যাপক ডা. নাসিমা আখতার। সার্ক অটোল্যারিংগোলজিস্টস এসোসিয়েশনের (বাংলাদেশ চাপ্টার) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এসএম খোরশেদ আলম মজুমদারসহ এসোসিয়েশনের অধ্যাপক এএইচএম জহুরুল হক সাচ্চু, অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. এসকে নূরুল ফাত্তাহ রুমী, অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, অধ্যাপক ডা. মো. আবু হানিফ, অধ্যাপক ডা. মো. আবু ইউসুফ ফকির, ডা. মোহাম্মদ ইদ্রিছ আলী ও ডা. দেওয়ান মাহমুদ হাসান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ডা. নাসিমা আখতার জানান, বর্তমান বিশ্বের ৫ শতাংশ মানুষ বধিরতা ভুগছেন। বিভিন্ন ধরণের প্রতিবন্ধিতার মধ্যে বধিরতা হল দ্বিতীয় বিশ্বে ৪৬৬ মিলিয়ন মানুষ বধিরতায় আক্রান্ত। এখনই যদি যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া না যায় ২০৫০ সালে ৯০০মিলিয়ন মানুষ অর্থাৎ প্রতি ১০ জনের ১ জন বধিরতা আক্রান্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে ৯.৬ ভাগ জনগণ বধিরতার সমস্যায় ভুগছেন। এর মধ্যে ১.২ শতাংশ মানুষ সম্পূর্ণ বধিরতা আক্রান্ত। ১৫ বছরের নিচে বধিরতায় আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা ৬ শতাংশ। চিকিৎসার মাধ্যমে তাদের সমস্যা নিরাময়যোগ্য।
বাসস/সবি/এমএসএইচ/১৮২৫/-জেজেড