বাসস দেশ-৩২ : আর্থসামাজিক বিকাশে সংস্কৃতির মেলবন্ধন অপরিহার্য : মো. ফজলে রাব্বি মিয়া

142

বাসস দেশ-৩২
ডেপুটি স্পিকার-সামাজিক
আর্থসামাজিক বিকাশে সংস্কৃতির মেলবন্ধন অপরিহার্য : মো. ফজলে রাব্বি মিয়া
ঢাকা, ২৮ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সংস্কৃতির মেলবন্ধন অপরিহার্য।
আজ চীনের বেইজিং এ অনুষ্ঠেয় ‘ডায়লগ অন এক্সচেঞ্জ এন্ড মিউসুয়াল লার্নিং এমোং সিভিলাইজেশন’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সংস্কৃতি বিনিময়ের মাধ্যমে দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, ইতিহাসের প্রচীনতম সময় থেকেই দার্শনিক, বিজ্ঞানী, সাধক, পরিব্রাজক সকলেই প্রতিটি সভ্যতার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এটি সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের বিকাশেও ভূমিকা রেখেছে। চতুর্দশ শতাব্দীতে রেনেসাঁ, অষ্টাদশ শতাব্দীতে শিল্পবিপ্লব,উনবিংশ শতাব্দীতে রুশ বিপ্লবসহ অন্যান্য ঐতিহাসিক ঘটনাসমুহ মানব সভ্যতার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।প্রতিটি বিপ্লব একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে সংঘটিত হলেও এর প্রভাব বিশ্বজুড়ে বিস্তার লাভ করে। প্রতিটি বিপ্লবের বিষয়বস্তুই সমতা ও ন্যায়বিচারের জন্য সংঘটিত হয় যা জাতিগোষ্ঠির হৃদয়, ধর্ম,ও অঞ্চলকে প্রভাবিত করে।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক এবং প্রযুক্তিগত বিকাশ ভৌগলিক দুরত্বকে কমিয়ে আন্তসভ্যতার মধ্যে যোগাযোগকে আরও সহজতর করেছে। আমরা বিশ্বায়নের যুগে বসবাস করলেও বিশ্বটা এখনও শান্তিপূর্ণ হয়ে ওঠেনি। নানাবিধ অস্থিরতা, অনিশ্চয়তা বেড়েই চলছে। মানবতার সম্মুখীন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ আরও সংকটাপন্ন হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্য সমস্যা, ইউরোপে উদ্বাস্তু সংকট, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় রোহিঙ্গা সংকট প্রভৃতি প্রকট হচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে বিভিন্ন সংস্কৃতির জাতিসত্তার মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপরা বৃদ্ধি জরুরি ও সময়ের দাবী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সারা বিশ্বে শান্তি এবং স্থিতি কামনা করে। ভীতি ও যুদ্ধমুক্ত জীবনযাপনে বিশ্বাস করে। সভ্যতার সৃষ্টি ও তার ধারাবাহিক বিকাশে শিক্ষা একটি কার্যকারী উপাদান। তাই যখন কোনও উন্নয়নমূলক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে সকলের জন্য শিক্ষার অধিকারের বিষয়ে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত।
তিনি বলেন, মানব সভ্যতার বিকাশে এশিয়ার অবদান অপরিহার্য। এশিয়ানরা একটি উন্মুক্ত ও সুযোগাযোগ ভিত্তিক এশিয়া দেখতে চায়। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক বিকাশের সাথে চলতে হলে বহি:বিশ্বের অঙ্গনে নিজ দ্বার উন্মুক্ত করতে হবে।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তিপূর্ণ সহবস্থান, সামাজিক ন্যায়বিচার, ক্ষুধা দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত বিশ্ব গড়তে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তাঁর অভিপ্রায় জানিয়েছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পৌঁছানোর লক্ষে এগিয়ে যাচ্ছে।
বাসস/সবি/এমআর/১৯১৫/-আসাচৌ