বাসস দেশ-২৯ : প্রতিটি বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক মানের সেবা প্রদানে সরকার কাজ করছে : বিমান প্রতিমন্ত্রী

112

বাসস দেশ-২৯
বিমান-প্রতিমন্ত্রী-লাউঞ্জ-উদ্বোধন
প্রতিটি বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক মানের সেবা প্রদানে সরকার কাজ করছে : বিমান প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৮ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বহুমাত্রিক নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিটি বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক মানের সেবা দেওয়ার লক্ষে সরকার কাজ করছে। আজ চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মধুমতী ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃক যাত্রী লাউঞ্জ উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মধুমতী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এমপি।
বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার শেখ হাসিনার আগ্রহ ও নির্দেশনায় দেশের বিমান বন্দরগুলোর উন্নয়নে বর্তমানে বেশ কিছু মেগা প্রজেক্ট চলমান রয়েছে। ৫ হাজার ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে শাহ আমানাত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের রানওয়ে শক্তিশালীকরণ ও এয়ার ফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং সিস্টেম স্থাপনের কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। আমরা অচিরেই হজরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কাজ শুরু করবো, যা নির্মাণে মোট ব্যয় হবে ২১ হাজার ৩ শ’ ৯৯ কোটি টাকা। এই টার্মিনালের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ৩ লাখ ৩০ হাজার বর্গ মিটারের আয়তন, ২০ টি বোর্ডিং ব্রিজ, ২১ টি কনভেয়র বেল্ট ও ১৭৭ টি চেক ইন কাউন্টার নিয়ে হজরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর বছওে মোট ২০ মিলিয়ন যাত্রীকে সেবা প্রদান করতে পারবে। এছাড়াও, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ২ হাজার ৭ শ’ ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ ও রানওয়ে শক্তিশালীকরণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার লক্ষে কাজ চলছে। ৫ হাজার ১ শ’ ৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে এখানে নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ ও রানওয়ে দৈর্ঘ ৯ হাজার ফুট থেকে বাড়িয়ে ১২ হাজার ফুট করার প্রকল্প চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি আমাদেও বেসরকারি অংশীজনদের এগিয়ে আসা উচিত। আজকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মধুমতি ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃক যে লাউঞ্জটি উদ্বোধন হচ্ছে, তা যাত্রীদেরকে বিভিন্নভাবে সেবা প্রদান করবে। যাত্রীদের ভ্রমণকে আনন্দদায়ক ও আরামদায়ক করার জন্য ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
বাসস/সবি/এমএন/১৮৪৫/কেএমকে