অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে বহুখাতভিত্তিক পরিকল্পনার পাশাপাশি সচেতনতার বিকল্প নাই : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

199

ঢাকা, ২৭ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের বহুমাত্রিক পরিকল্পনার পাশাপাশি জনসচেতনতা সৃষ্টির কোনো বিকল্প নেই।
আজ সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত “অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য বহুখাতভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা ২০১৮-২০২৫” শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন ও বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে দিন দিন অসংক্রামক রোগ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, সিরোসিসসহ নানাবিধ অসংক্রামক রোগ এখন প্রায় বেশির ভাগ বাড়িতেই দেখা যাচ্ছে। এর প্রধানতম কারণ হচ্ছে আমাদের জীবন মানে অসতর্কতা। মানুষ এখন তাদের নিজেদের শরীরের যতœ নেয় না। চর্বি, তেল, চিনিযুক্ত খাবার বেশি খায়। শারীরিক ব্যায়াম করে না, সঠিক সময়ে খাবার গ্রহণ করে না। এর ফলে নিজেদের অজান্তেই নিজেদের শরীরে অসংক্রামক রোগের বাসা বানিয়ে ফেলছে। এই রোগগুলির কারণে রোগাক্রান্ত মানুষটির যেমন ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি তার পরিবার তথা দেশেরও সমান ক্ষতি হচ্ছে। একারণে অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের বহুমাত্রিক পরিকল্পনার পাশাপাশি জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।’
সভায় আলোচকরা বলেন, বিশে^র অন্যান্য স্থানের ন্যায় বাংলাদেশেও হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, বিভিন্ন ধরণের মানসিক রোগ ইত্যাদির মতো অসংক্রামক রোগের প্রকোপ মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিবছর প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের মৃত্যু ঘটে যার ২২ শতাংশই হলো অকাল মৃত্যু। এছাড়াও অকাল মৃত্যুর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কারণ হলো- আত্মহত্যা, মাদকাসক্তি, সড়ক দুর্ঘটনা, পানিতে ডোবা ইত্যাদি। দীর্ঘমেয়াদী এই সকল অসংক্রামক রোগ ও তার ব্যয়বহুল চিকিৎসার ফলে প্রতিবছর লক্ষাধিক লোক দারিদ্র সীমার নিচে চলে যায়। ফলে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। আর সেজন্যই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় অসংক্রামক রোগকে বেশ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, সমাজকর্মি, গণমাধ্যমকর্মি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।