ডা. মিলনের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নতুন গতি সঞ্চারিত হয় : প্রধানমন্ত্রী

142

ঢাকা, ২৬ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পেশাজীবী নেতা ডা. মিলনের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে তখনকার স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নতুন গতি সঞ্চারিত হয়। তিনি বলেন, ‘ডা. মিলনের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে তখনকার স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নতুন গতি সঞ্চারিত হয়। অবশেষে স্বৈরশাসকের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়।’
আগামীকাল (বুধবার) শামসুল আলম খান মিলনের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই সংগ্রামে যুবলীগ নেতা নূর হোসেন, নূরুল হুদা, বাবুল, ফাত্তাহসহ অগণিত গণতন্ত্রকামী মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার রাজপথ।’ তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশে পুন:প্রতিষ্ঠিত হয় ভোট ও ভাতের অধিকার। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিায় তাদের অবদান জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডা. মিলন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক এবং বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের তৎকালীন যুগ্ম-মহাসচিব ছিলেন। ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের একটি সভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ঘাতকদের গুলিতে শহিদ হন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা ডা. মিলনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সকল শহিদকে স্মরণ করেন এবং তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।