বাসস দেশ-১৪ : এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতির মামলায় ২৩ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ৪ ফেব্রুয়ারি

119

বাসস দেশ-১৪
নকশা- জালিয়াতি- তদন্ত
এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতির মামলায় ২৩ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ৪ ফেব্রুয়ারি
ঢাকা, ২৪ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতির মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ রোববার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক প্রতিবেদন দাখিল করেননি। এজন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।
ভবনের অন্যতম মালিক এসএমএইচআই ফারুক ও তাসভীর উল ইসলামসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। গত ২৮ মার্চ এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ২৭ জন নিহত হওয়ার পর ওই ভবন নির্মাণে নানা অনিয়মের বিষয় বেরিয়ে আসে। বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে ওই ভবনের জমির মূল মালিক ছিলেন প্রকৌশলী এসএমএইচআই ফারুক। অংশীদারত্বের ভিত্তিতে ভবনটি নির্মাণ করে রূপায়ন হাউজিং এস্টেট লিমিটেড।
নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে ভবনটিতে কয়েকটি তলা বাড়ানোর অভিযোগে গত ২৫ জুন তাসভীরসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুদক কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দিক দুটি মামলা করেন। একটি মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ভুয়া ছাড়পত্রের মাধ্যমে এফআর টাওয়ারকে ১৯তলা থেকে বাড়িয়ে ২৩তলা করা, ওপরের ফ্লোরগুলো বন্ধক দেয়া ও বিক্রি করার অভিযোগে ২০ জনকে আসামি করা হয়।
অপর মামলায় এফআর টাওয়ারের ১৫তলা পর্যন্ত নির্মাণের ক্ষেত্রে ইমারত বিধিমালা লঙ্ঘন এবং নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে ১৮তলা পর্যন্ত বাড়ানোর অভিযোগ করা হয়।
১৯৯০ সালে ১৫তলা ভবন নির্মাণের জন্য রাজউক থেকে অনুমতি নেয় এফআর টাওয়ার কর্তৃপক্ষ। পরে সেই একই নকশা দেখিয়ে ১৯৯৬ সালে ১৫তলার জায়গায় ১৮তলা ভবন নির্মাণের অনুমোদন নেয়া হয়। তবে দুদকের মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, ওই অনুমোদন দেয়ার বিষয়টিও ছিল ‘অবৈধ’।
বাসস/ সংবাদদাতা/এমএআর/১৬২৭/শআ