বাসস ক্রীড়া-১২ : ইনিয়েস্তা শুরুতে না থাকায় স্পেনের এমন পরিণতি : ফ্যাব্রেগোস

151

বাসস ক্রীড়া-১২
ফুটবল-ইনিয়েস্তা-ফ্যাব্রিগেস
ইনিয়েস্তা শুরুতে না থাকায় স্পেনের এমন পরিণতি : ফ্যাব্রেগোস
মস্কো (রাশিয়া), ২ জুলাই ২০১৮ (বাসস) : রাশিয়ার বিপক্ষে ফুটবল বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর ম্যাচের শুরু থেকেই মাঠে ছিলেন না স্পেনের তারকা খেলোয়াড় আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। বদলি হিসেবে ইনিয়েস্তা মাঠে নামার পরই আক্রমণের ধার বাড়াতে পারে স্পেন। অবশ্য তার আগে টিকেথাকা ফুটবলের মধ্যেই আটকে ছিলো স্প্যানিশরা। তবে ম্যাচের শুরু থেকে ইনিয়েস্তার না থাকাই দলের বড় ক্ষতি করেছে বলে মনে করেন স্পেনের আরেক তারকা খেলোয়াড় ও মিডফিল্ডার সেস ফ্যাব্রেগোস। তিনি বলেন, ‘ম্যাচের শুরু থেকে ইনিয়েস্তাকে একাদশে না দেখে আমি হতবাক হয়েছি। রাশিয়ার সামনে স্পেনকে অনেক অসহায় লেগেছে। এভাবে ম্যাচ হারার একটাই কারণ, ম্যাচের শুরু থেকে একাদশে ইনিয়েস্তার না থাকাটা।’
রোববার মস্কোতে শেষ ষোলোর তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় রাশিয়া ও স্পেন। নির্ধারিত ৯০ মিনিট ১-১ সমতায় শেষ হয়। এরপর অতিরিক্ত সময়েও কোন দল গোল করতে পারেনি। তাই ম্যাচটি গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে রাশিয়া ৪-৩ ব্যাবধানে হারায় স্পেনকে। টাইব্রেকারে স্পেনের দু’টি শট আটকে রাশিয়াকে অবিস্মরণীয় জয় এনে দেন দলের গোলরক্ষক ও ব্যক্তিগত জীবনে সঙ্গীত শিল্পি ইগর আকিনফিব।
ম্যাচের শুরু থেকে স্পেনের একাদশে ছিলেন না ইনিয়েস্তা। ৬৭ মিনিটে ডেভিড সিলভার পরিবর্তে খেলতে নামেন তিনি। এরআগে ৭৬ শতাংশ বল দখলে রেখেছিলো স্পেন। কিন্তু ভালো কোন আক্রমণই করতে পারেনি তারা। তবে ইনিয়েস্তার মাঠে আসার পর বাঁ-প্রান্ত দিয়ে আক্রমণ করার চেষ্টা করে স্পেন। তাতে বেশ কয়েবার সফলও হয় স্প্যানিশরা। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি তারা। কিন্তু ইনিয়েস্তাকে পেয়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণদূর্ঘে ঢুকতে পেরেছিলো স্পেন। কারণ মধ্যমাঠ থেকে ইনিয়েস্তাই আক্রমণগুলো রচনা করেছেন।
শুরু থেকেই ইনিয়েস্তাকে একাদশে না দেখে হতবাক ফ্যাব্রেগোস বলেন, ‘এটা খুবই চমকে দেওয়ার মতো চিত্র। স্পেনের একাদশে নেই ইনিয়েস্তা। গত পনেরো বছর ধরে তার সাথে আছি এবং তার সাথে বহু ম্যাচ খেলেছি। সম্ভবত এই নিয়ে দ্বিতীয়বার দেখলাম, ইনজুরির কারণ ছাড়া একাদশের শুরু থেকে মাঠে নেই সে।’
দলের প্রিয় সতীর্থকে একাদশের শুরু থেকে না দেখে খারাপ কিছু মনে কামড় দিয়েছিলো ফ্যাব্রেগাসের। তিনি বলেন, ‘যখন দেখলাম ইনিয়েস্তা শুরুতে নেই, তখনই মনে হয়েছে হয়তো আজ দিনটি আমাদের হবে না। ভেবেছিলাম, ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে তাকে মাঠে দেখবো। কিন্তু সেটিও হয়নি। বড্ড দেরি করে তাকে মাঠে নামানো হয়। ততক্ষণে ম্যাচের অবস্থা বুঝে ফেলে রাশিয়া। শেষ পর্যন্ত আমার মনের সন্দেহই বাস্তবে রুপ নিলো। টাইব্রেকারে ভাগ্যের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু ম্যাচের শুরু থেকে ইনিয়েস্তা একাদশে থাকলে এমন ফল হতো না ম্যাচের। এভাবে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হতো না স্প্যানিশদের।’
ইনিয়েস্তার প্রশংসা ও অবসরের ব্যাপারেও কথা বলেন ফ্যাব্রিগেস। তিনি বলেন, ‘ইনিয়েস্তা কত বড় খেলোয়াড়, তা বলার প্রয়োজন নেই। বিশ্ব ইনিয়েস্তা সর্ম্পকে জানে। স্পেনকে অনেক সাফল্য ও সম্মান এনে দিয়েছে সে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনকে বিদায় বলেছে সে, এমনকি বার্সেলোনাতেও আগামী মৌসুম থেকে দেখা যাবে না। হয়তো আরও দু’বছর মাঠে দেখা যেতে পারে তাকে। তবে যাই হোক, তার জন্য শুভ কামনা রইল।’
বাসস/এএমটি/১৮১৫/মোজা/স্বব