আওয়ামী লীগ সরকার চট্টগ্রামে পানির সংকট নিরসন করেছে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

308

চট্টগ্রাম, ২৩ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার চট্টগ্রাম মহানগরীর পানির সংকট নিরসন করেছে। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে চট্টগ্রাম নগরীর ৪০ শতাংশ মানুষও পানি পেতো না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০৮ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর পানি সংকট নিরসন হয়েছে। নগরীতে শতভাগ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য পানি শোধনাগার স্থাপন করা হয়েছে।
তাজুল ইসলাম আজ শনিবার নগরীর রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউ’র মেজবান হলে চট্টগ্রাম মহানগরীর পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা স্থাপন প্রকল্প (১ম পর্যায়) এর পরামর্শক নিয়োগের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসার অধীনে আরো ৫টি প্রকল্প গ্রহণ করা হবে, যার তিনটির ব্যয় ৪ থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা হবে। প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল সমস্যা সমাধান করে উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, বন্দরনগরী চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প প্রদান এবং বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ।
চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. জহিরুল ইসলাম, মালেশিয়ার পরামর্শক প্রতিষ্ঠান জেবি এরিঙ্কোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তনুশ্রী আই আর জাহেদ ইবনে আহমেদ লাদেন, চট্টগ্রাম ওয়াসার বোর্ড মেম্বার শওকত হোসেন ও প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান সরকার দারিদ্র্যমুক্ত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। গুণগত কাজ ও সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। সামনে আরো পরিবর্তন আসবে। আমাদের আগে লক্ষ্য ছিল এমডিজি (মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল)। তা অর্জন করেছি। এখন এসডিজি-৪ (সাসটেইনেবল ভেভেলপমেন্ট গোল) প্রকল্পে ২০৩০ সালের মধ্যে পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে চাই।’
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম শহরে পানি সরবারহ ব্যবস্থা সন্তোষজনক হলেও স্যানিটেশন অবকাঠামোর যথেষ্ট অভাব রয়েছে। নগরীতে স্যানিটেশন সুবিধাদি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য,এ অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ৫ বছর মেয়াদি স্যুয়োরেজ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৮০৮ কোটি ৫ হাজার ৮৭৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৩ হাজার ৭৫৮ কোটি ৫ হাজার ৮৭৭ লাখ টাকা জিওবি’র অনুদান এবং চট্টগ্রাম ওয়াসা নিজস্ব তহবিল থেকে দেবে ৫০ কোটি টাকা। প্রকল্পটি ৬ ভাগে ভাগ করে বাস্তবায়িত হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে কর্ণফুলী নদী দূষণ থেকে রক্ষা পাবে।
প্রকল্পটি চট্টগ্রাম মহানগরীর উত্তর হালিশহর, নয়াবাজার, রামপুর, পাহাড়তলী, আমবাগান, লালখান বাজার, আসকারদিঘী, কোতোয়ালি, ফিরিঙ্গি বাজার, সদরঘাট, দক্ষিণ আগ্রাবাদ, সল্টগোলা ক্রসিং এলাকাগুলোতে বাস্তবায়ন হবে। এ প্রকল্পের ফলে নগরীর ১১টি ওয়ার্ডের ২০ লাখ মানুষ সুবিধা ভোগ করবে।
প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে মালয়েশিয়া ভিত্তিক জেবি অফ এরিঙ্কো এবং বাংলাদেশের বিইটিএস কনসাল্টিং সার্ভিস লিমিটেড, ইনস্টিটিউট অফ ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম) ও ডেভ কনসালট্যান্ট লিমিটেড।