বাসস দেশ-৩ : রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর হামলার ‘রাষ্ট্রীয় নীতি’তে সংকিত আইসিসি : প্রসিকিউটর

137

বাসস দেশ-৩
আইসিসি-রোহিঙ্গা
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর হামলার ‘রাষ্ট্রীয় নীতি’তে সংকিত আইসিসি : প্রসিকিউটর
ঢাকা, ২৩ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস): আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রসিকিউটর ফাতু বেনসৌদা বলেছেন, আইসিসি’র বিচারকরা শংকিত যে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর হামলার ‘রাষ্ট্রীয় নীতি’ গ্রহণ করতে পারে।
এই নারী কর্মকর্তা শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, যুক্তিসংগত কারণে বিচারকের এই বিশ্বাস জন্মেছে যে, সেখানে মিয়ানমার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর হামলার রাষ্ট্রীয় নীতি গ্রহণ করতে পারে।
রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের পরিকল্পিত অপরাধের তদন্ত শুরুর ব্যাপারে আইসিসি’র অনুমোদনের পরে এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।
বিচারকদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে প্রসিকিউটর বলেন, ‘সেখানে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, মিয়ানমারের বিভিন্ন সরকারি বাহিনীর উপস্থিতিতে এবং রাষ্ট্রীর অন্যান্য সংস্থা ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থা ও কিছু স্থানীয় লোকদের যৌথ অংশ গ্রহণে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধ সংঘটিত হতে পারে।’
অপরাধ অভিযোগ গ্রহণ করে বিচারকদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে প্রসিকিউটর বলেন, ‘এই দমন কার্যক্রম এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অথবা জাতিগত নিধনের অভিযোগ মানবতা বিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে ।’
বিচারকরা বৃহত্তর পরিসরে এই অপরাধ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উল্লেখ করে বেনসৌদা এটিকে মিয়ানমারের নৃশংসতার বিরুদ্ধে একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
১৪ নভেম্বর প্রি-ট্রায়াল চেম্বার তৃতীয় আদালতের বিচারকরা ‘বাংলাদেশ/মিয়ানমার পরিস্থিতি’ নিয়ে তদন্তের জন্য প্রসিকিউটর অফিসকে নির্দেশ দিয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, মিয়ানমার আইসিসি’র সদস্য দেশ নয়, এজন্য দেশটি আইসিসি’র পক্ষ নয়। তবে বাংলাদেশ আইসিসি’র পক্ষ। প্রসিকিউটর চেম্বার আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, আদালত বলেছে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে যে সব বেসামরিক নাগরিক বাধ্য হয়ে বাংলাদেশে এসেছে তারা হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে এখানে এসেছে, এই ঘটনায় সুস্পষ্টভাবে ভৌগোলিক সংযোগ রয়েছে। এটি মিয়ানমারের অপরাধ প্রমাণের জন্য যথেষ্ট।
বাসস/টিএ/অনুবাদ-এমএবি/১৪৪০/কেএআর