ভোলায় ১০ হাজার কৃষক পাচ্ছেন রবি শস্যের প্রণোদণা

198

ভোলা, ২১ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : জেলার ৭ উপজেলায় ৯ হাজার ৮০০ জন কৃষকের মাঝে সরকারিভাবে রবি শস্যের প্রণোদণা বিতরণ করা হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে ক্ষুদ্র ্ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে সরিষা, ভুট্রা, চীনা বাদাম, সূর্যমুখী, শীতকালীন মুগ ও গ্রীস্মকালীন মুগ ডালের জন্য উন্নত সার এবং বীজ প্রণোদণা বিতরণ চলছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ১৪’শ ৪০ জন কৃষকের মাঝে প্রণোদণা বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্র বাসস’কে নিশ্চিত করেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিনয় কৃষœ দেবনাথ আজ বাসস’কে জানান, মূলত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা সরকারি এসব বীজ ও সার পেয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। এছাড়া এবছর ঘূণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরাও এ কর্মসূচির আওতায় এসেছে। ডিসেম্বর’র প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সকল উপজেলায় প্রণোদণা বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।
তিনি বলেন, আমাদের বীজ বিতরণের ফলে নতুন নতুন উন্নত জাতের সাথে পরিচিত হচ্ছে চাষিরা। সুষম সার ব্যাবহার বাড়ছে। ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাধারণ বীজের চেয়ে এসব বীজে ১০ থেকে ২০ ভাগ বেশি উৎপাদন হয়। এক কথায় সরকারের এসব প্রণোদনায় কৃষি খাত সমৃদ্ধ হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
কৃষি কর্মকর্তারা জানায়, প্রতি কৃষককে ভুট্রার জন্য উন্নত বীজ দেয়া হচ্ছে ২ কেজি। ডিএপি সার দেয়া হবে ২০ কেজি এবং এমওপি সার ১০ কেজি। সরিষার জন্য ১ কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হবে। চীনামাদামের জন্য ১০ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি সার দেওয়া হবে। শীতকালীন মুগডালের জন্য বীজ দেয়া হবে ৫ কেজি করে, ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি সার এবং গ্রীস্মকালীন মুগের জন্য ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি দেওয়া হবে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বাসস’কে বলেন, জেলার মোট ৯ হাজার ৮০০ জন প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে ভ’ট্রার জন্য প্রণোদণা পাচ্ছে ২৫’শ কৃষক, সরিষার জন্য ৪ হাজার কৃষক, চীনা বাদামের জন্য ১৪’শ, সূর্যমুখীর জন্য ৪০০, শীতকালীন মুগের ৯’শ ও গ্রীস্মকালীন মুগের ৬’শ জন কৃষক রয়েছেন।