বাসস দেশ-৪১ : দুর্নীতি, মাদক ও সন্ত্রাস একই সূত্রে গাঁথা : দুদক চেয়ারম্যান

241

বাসস দেশ-৪১
দুদক চেয়ারম্যান-সভা
দুর্নীতি, মাদক ও সন্ত্রাস একই সূত্রে গাঁথা : দুদক চেয়ারম্যান
ঢাকা, ২০ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দুর্নীতি, মাদক ও সন্ত্রাস একই সূত্রে গাঁথা। এটি রাষ্ট্রের মানসম্পদ উন্নয়নের অন্যতম প্রতিবন্ধক।
তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দেয়া তালিকা অনুযায়ী মাদক গডফাদারদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করছে দুদক। অনেকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
দুদক চেয়ারম্যান আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে দপ্তরের মাঠ পর্যায়ে কর্মরত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, মাদকের বিস্তৃতি নিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে উদ্বিগ্ন। কারণ মাদক সমাজকে ধ্বংস করে। এটি রাষ্ট্রের মানসম্পদ উন্নয়নের অন্যতম প্রতিবন্ধক। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং সর্বোচ্চ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড পেতে হলে সক্ষম মানবসম্পদের কোনো বিকল্প নেই।
অতিসম্প্রতি মাদকবিরোধী অভিযানে দেশে মাদকের ব্যপকতা কিছুটা হলেও কমেছে জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এখনও প্রায়শ সড়কে দেখা যায় পথশিশুরা পলিথিনে করে ড্যান্ডির মাধ্যমে সৃষ্ট ধোয়ায় নেশা করছে। এদেরকে চিহ্নিত করে সমাজ কল্যাণে বিভাগের মাধ্যমে পুনর্বাসন অথবা সরকারি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের মাধ্যমে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। কারণ, এই শিশুদের দেখে অন্য শিশুরাও মাদক বা নেশার প্রতি প্রলুব্ধ হতে পারে।
তিনি মাদক দ্রব্য ব্যবহারের কুফল নিয়ে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তথা স্কুল, কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনারও অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন মাদক, দুর্নীতি বা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সবসময় সমন্বিত উদ্যোগকে স্বাগত জানায়। মাদক্র দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মনে করলে – কমিশনের সাথে সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষর করতে পারে। আমরাও এই অপরাধ দমনে সাহায্য করতে পারি। প্রয়োজনে সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করা যেতে পারে।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের সন্তানদের মাদকসেবী বানাবেন -এমন দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে যাতে তারা তাদের এই অবৈধ সম্পদ ভোগ করতে না পারেন। দুর্নীতি ও মাদক নির্মূলে আমরা সবাই একত্রে সমন্বিতভাবে কাজ করতে চাই। এখানে আপসের সুযোগ নেই।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত মহাপরিচালক সঞ্জীয় কুমার চক্রবর্তী প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
বাসস/সবি/এফএইচ/২০২৩/আরজি