বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ : সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন : প্রধানমন্ত্রী

285

বাসস প্রধানমন্ত্রী-২
শেখ হাসিনা-বাণী
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন : প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা, ২০ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্য মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবেন। আগামীকাল (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী দুর্যোগ মোকাবিলা, অবকাঠামো নির্মাণ, আর্তমানবতার সেবা, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা এবং বিভিন্ন জাতিগঠনমূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে ২১-এ নভেম্বর একটি বিশেষ গৌরবময় দিন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালের এ দিনে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর অকুতোভয় সদস্যরা সম্মিলিতভাবে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের সূচনা করেন।’
মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতির অগ্রযাত্রা ও বিজয়ের স্মারক হিসেবে প্রতিবছর ২১-এ নভেম্বর ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ পালন করা হয় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিবাহিনী, বিভিন্ন আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা ও দেশপ্রেমিক জনতা এই সমন্বিত আক্রমণে একতাবদ্ধ হন। দখলদার বাহিনী আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়। হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করে ১৬ই ডিসেম্বর আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা সেনা, নৌ এবং বিমানবাহিনীকে দেশে ও বিদেশে উন্নততর প্রশিক্ষণ প্রদানসহ আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত করছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতার নির্দেশে প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতিমালার আলোকে ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করা হয়েছে। এর আওতায় তিন বাহিনীর পুনর্গঠন ও আধুনিকায়নের কার্যক্রমসমূহ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙলি জাতি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাঁর দূরদর্শী, সাহসী এবং ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার পর জাতির পিতা একটি আধুনিক ও চৌকস সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন। সেনাবাহিনীর জন্য তিনি মিলিটারি একাডেমি, কম্বাইন্ড আর্মড স্কুল ও প্রতিটি কোরের জন্য ট্রেনিং স্কুলসহ আরো অনেক সামরিক প্রতিষ্ঠান এবং ইউনিট গঠন করেন। তিনি চট্টগ্রামে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ঘাঁটি ঈসা খাঁ উদ্বোধন করেন।’ শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৎকালীন যুগোশ¬াভিয়া থেকে নৌবাহিনীর জন্য দু’টি জাহাজ সংগ্রহ করা হয়। বিমানবাহিনীর জন্য তিনি তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে সুপারসনিক মিগ-২১ জঙ্গি বিমানসহ হেলিকপ্টার, পরিবহন বিমান ও রাডার সংগ্রহ করেন।’
বাণীতে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং মাতৃভূমির জন্য জীবন উৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সকল শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। একই সাথে প্রধানমন্ত্রী ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০১৯’ -এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
বাসস/তবি/বিকেডি/১৯৫৭/কেএমকে