ঢাকা, ২০ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : রাজধানীতে আয়োজিত ডিজিটাল ওয়েজ সম্মেলনে বক্তারা বলেছেন, দেশে বর্তমানে ১৫ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিক ডিজিটাল পদ্ধতিতে মজুরি পাচ্ছেন।
তারা বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পখাতের ৯০ শতাংশ শ্রমিককে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল ওয়েজ পেমেন্টের আওতায় আনা হবে।
বক্তারা আজ বুধবার রাজধানীর রেডিসন হোটেলে বাংলাদেশ ডিজিটাল ওয়েজ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে মজুরি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে পুরুষ শ্রমিকদের তুলনায় নারীরা পিছিয়ে রয়েছে উল্লেখ করে তারা বলেন, নারীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি জোরদার করতে নারী শ্রমিকদেরকেও ডিজিটাল পেমেন্টের আওতায় আনার ব্যাপারে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
এক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপি।
এ-টু-আই প্রকল্পের পলিসি এডভাইজার অনির চৌধুরীর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অধিবেশনে বাংলাদেশে আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর তৌমু পৌটিয়ানিন, ইউএনডিপি’র রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টিটিভ সুদীপ্ত মুর্খাজী, মার্কস এন্ড স্পেনসার বাংলাদেশ’র কান্ট্রি ম্যানেজার স্বপ্না ভৌমিক, বিজিএমইএ’র প্রেসিডেন্ট ড. রুবানা হক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্ণর আহমেদ জামাল প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্রে শিল্প মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে অনেক দূর এগিয়েছে। ই-ফাইলিং ব্যবস্থাপনায় শিল্প মন্ত্রণালয় শীর্ষস্থান দখলকারী মন্ত্রণালয়গুলোর তালিকায় অন্যতম। তিনি বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত চিনি কলগুলোতে ই-পূর্জি চালুর মাধ্যমে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের সুযোগ কাজে লাগানো হচ্ছে। ডিজিটাল ওয়েজ পেমেন্ট পদ্ধতি চালুর ক্ষেত্রে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সর্বাত্মক সমর্থন থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প কর্মসূচি আজ সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে। বর্তমানে বাংলাদেশের ১০০ মিলিয়ন মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। এর পাশাপাশি দেশে ১৬ কোটি মানুষের কাছে মোবাইল সিমকার্ড রয়েছে। তৈরি পোশাক শিল্পখাতের প্রত্যেক শ্রমিক ন্যূনতম একটি করে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন। এ বাস্তবতায় অল্প সময়ের ব্যবধানে সকল তৈরি পোশাক শ্রমিককে ডিজিটাল ওয়েজ পেমেন্টের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্য অর্জনও সম্ভব হবে।