বাসস দেশ-৩৭ : জি কে শামীমের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৬ জানুয়ারি

224

বাসস দেশ-৩৭
শামীম-প্রতিবেদন
জি কে শামীমের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৬ জানুয়ারি
ঢাকা, ১৯ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় ঠিকাদার এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছে আদালত।
আজ মঙ্গলবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
এরআগে ২১ অক্টোবর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদি হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জি কে শামীম ২০১৮-১৯ করবর্ষে ৫০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদের মালিক হয়েছেন। এর মধ্যে আয়কর নথিতে ৪০ কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৪ টাকার তথ্য উল্লে¬খ করলেও মোট টাকার বৈধ উৎস খোঁজে পায়নি দুদক।
এ ছাড়া শামীমের বাসা থেকে উদ্ধারকৃত নগদ এক কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা ও সাত লাখ ৪৭ হাজার টাকার বিদেশি মুদ্রা, শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের নামে ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকার এফডিআর, মায়ের নামে আরও ৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার ব্যবসার অংশীদার এবং জি কে বি অ্যান্ড কোম্পানির শেয়ার, গাড়ি ও এফডিআর বাবদ ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ ১৮ হাজার ৭১৯ টাকার অস্থাবর সম্পদের বৈধ উৎস পায়নি দুদক।
দুদকের অনুসন্ধানে জি কে শামীমের মা আয়েশা আক্তারের কোনো বৈধ আয়ের উৎসও পাওয়া যায়নি বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।।
টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গত ২০ সেপ্টেম্বর বহিস্কৃত যুবলীগ নেতা জি কে শামীমকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরদিন তাদের গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা করা হয়। এসব মামলায় তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
বাসস/সংবাদদাতা/এফএইচ/২০০০/এএএ