বাসস দেশ-৩৫ : ভোগ্য পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে এফবিসিসিআই বৈঠক ডেকেছে

215

বাসস দেশ-৩৫
স্থিতিশীল-ভোগ্যপণ্য
ভোগ্য পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে এফবিসিসিআই বৈঠক ডেকেছে
ঢাকা, ১৯ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : পেঁয়াজ ও লবনসহ অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)সরকার,ভোগ্যপণ্য ব্যবসায়ীসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আগামী ২৪ নভেম্বর বৈঠক করবে। পেঁয়াজসহ আরো কিছু ভোগ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং গুজবে বিভ্রান্ত হয়ে আজ লবন কেনার হিড়িক পড়ার প্রেক্ষিতে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ এই সংগঠন বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে, কোন ব্যবসায়ী যেন অতি মুনাফা লাভের আশায় অনৈতিক চর্চা না করে সেজন্য এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে ভোগ্যপণ্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে এফবিসিসিআই সহসভাপতি মো সিদ্দিকুর রহমান বাসস’কে বলেন,পেঁয়াজের মূল্য ইতোমধ্যে কমতে শুরু করেছে। আশা করি অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে এর মূল্য স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তবে আজ লবন কেনার প্রতি হিড়িক দেখা গেছে, এর পেছনে গুজব থাকতে পারে বলে তিনি মনে করছেন।
তিনি বলেন,দেশে পর্যাপ্ত লবন মজুদ থাকার পরে লবনের মূল্য বৃদ্ধির কারণ থাকতে পারে না। তাই ভোক্তাদের সতর্ক থাকতে হবে কোন গুজবে যেন তারা বিভ্রান্ত না হন।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ভোগ্য পণ্য সবসময়ের জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর। তাই কেউ যেন বাড়তি লাভের আশায় কোন অনৈতিক চর্চা যেন না করেন সেই অনুরোধ করা হবে। পাশাপাশি বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য ব্যবসায়ীরা কি ভূমিকা রাখতে পারেন, সে বিষয়ে পরামর্শ নেয়া হবে।
এদিকে, শিল্প মন্ত্রণালয় জানিয়েছে দেশে লবনের কোন ঘাটতি নেই। যে পরিমাণ লবন বর্তমানে মজুদ আছে তা দিয়ে আগামী পাঁচ মাসের চাহিদা মেটানো সম্ভব। এছাড়া এখন লবন উৎপাদনের মৌসুম চলছে, তাই লবনের দাম বাড়ার আশঙ্কা পুরোটাই গুজব।
মঙ্গলবার শিল্পসচিব মো. আব্দুল হালিম বাসসকে বলেন, দেশে বর্তমানে সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টনের বেশি ভোজ্যলবণ মজুত রয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের লবনচাষিদের কাছে ৪ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন এবং বিভিন্ন লবণ মিলের গুদামে ২ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন লবণ মজুত রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে প্রতি মাসে ভোজ্যলবণের চাহিদা কমবেশি ১ লাখ মেট্রিক টন। অন্যদিকে, লবণের মজুত আছে সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টন। সে হিসাবে লবণের কোনো ধরনের ঘাটতি বা সংকট হওয়ার প্রশ্নই উঠে না।
সচিব বলেন,গুজবে বিভ্রান্ত হয়ে যদি কেউ বাড়তি দামে লবন কেনেন,তাহলে তিনি ঠকবেন। কারণ লবনের দাম বাড়ার কোন ধরনের সম্ভাবনা নেই। বরং লবন ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মজুদ লবন রফতানি করার জন্য সরকারের কাছে দেনদরবার করছে।
তিনি জানান, কোন র্স্বাথান্বেষী মহল যেন বাজার অস্থিতিশীল না করতে পারে এজন্য বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) ইতোমধ্যে সরবরাহ ব্যবস্থা আরো শক্তিশালী করার কাজ শুরু করেছে। এর পাশাপাশি সরকারের মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনও এ ব্যাপারে সতর্ক আছে।
এদিকে,নারায়নগঞ্জ লবন মিল মালিক সমিতির সভাপতি পরিতোষ কান্তি সাহা বাসসকে জানিয়েছেন,দেশে বর্তমানে লবনের কোন ঘাটতি নেই। পর্যাপ্ত পরিমাণ লবন মজুদ আছে। তিনি বলেন,লবনের দাম বাড়ার যে আশঙ্কার খবর ছড়ানো হয়েছে,সেটি সম্পূর্ণ বানোয়াট ও গুজব। এতে বিভ্রান্ত না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
উল্লেখ্য,দাম বেড়ে যেতে পারে এমন গুজবে বিভ্রান্ত হয়ে আজ রাজধানীতে লবন কেনার হিড়িক পড়ে যায়।
বাসস/এএসজি/আরআই/১৯৫০/-আসাচৌ