বাসস দেশ-৩০ : নাগরিকদের সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে ‘কমিউনিটি অ্যাম্বাসেডর’ কার্যক্রম চালু করেছে ডিএসসিসি

বাসস দেশ-৩০
কমিউনিটি-অ্যাম্বাসেডর
নাগরিকদের সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে ‘কমিউনিটি অ্যাম্বাসেডর’ কার্যক্রম চালু করেছে ডিএসসিসি
ঢাকা, ১৯ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : নাগরিকদের সেবা কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য ‘কমিউনিটি অ্যাম্বাসেডর’ টিমের কার্যক্রম শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)।
‘কমিউনিটি অ্যাম্বাসেডর’ টিম বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সড়ক বাতি, মশক নিয়ন্ত্রণ, সড়ক মেরামতসহ নানা সমস্যার জরুরি সমাধান এবং সেবা কার্যক্রম মনিটরিং করবে।
দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতায় ৭৫টি ওয়ার্ডে প্রায় ১৮০০ জন কমিউনিটি অ্যাম্বাসেডর টিমের সদস্য হিসেবে কাজ করবেন।
ঢাকা দক্ষিণের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন মঙ্গলবার নগর ভবন প্রাঙ্গণে এম্বাসেডরদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় নাগরিক সেবার মানোন্নয়নে ওয়ার্ড পর্যায়ে নাগরিক সেবা প্রাপ্তি সহজ এবং নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের আহবান জানান।
এ সময় কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. ইমদাদুল হক, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক এয়ার কমোডোর জাহিদ হোসেন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ ও প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিম উপস্থিতি ছিলেন।
প্রতিটি ওয়ার্ডকে চার/পাঁচটি ইউনিটে ভাগ করে প্রতি ইউনিটে ৭ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন। রোস্টার অনুযায়ী স্বেচ্ছাসেবীরা তাদের আওতাধীন এলাকার রাস্তা, ড্রেন ও সড়ক বাতিসহ অন্যান্য সেবা কার্যক্রম ঘুরে দেখবেন। আর সে অনুযায়ী রিপোর্ট, পরামর্শ ও অভিযোগ তুলে ধরবেন যোগাযোগের জন্য গ্রুপে।
এই গ্রুপটি পরিচালনা করার জন্য সংস্থাটির ৫টি অঞ্চলের প্রধানরা সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন। যে বিষয়ে অভিযোগ আসবে সেগুলো সেই অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট বিভাগে চলে যাবে। নাগরিকরা www.dscc.gov.bd তে সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন।
নাগরিকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বেচ্ছাসেবীদের পরামর্শ ও রিপোর্ট পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক কার্যালয়সমূহ থেকে এসবের দ্রুত সমাধান দেয়া হবে। এর ব্যত্যয় হলে দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে এসব সমস্যার কথা তুলে ধরবেন কমিউনিটি অ্যাম্বাসেডররা।
স্বেচ্ছাসেবী বা কমিউনিটি অ্যাম্বাসেডর হিসেবে এসব টিমে থাকবেন ওয়ার্ডের দায়িত্বশীল নেতাকর্মী, অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবি, মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত ছাড়াও সরকারি বেসরকারি চাকরিজীবীরা।
অভিযোগ, পরামর্শ ও রিপোর্ট পাঠানোর জন্য স্বেচ্ছাসেবীদের পরিচয়পত্র এবং লগ বুক দেয়া হবে পাশাপাশি যোগাযোগের স্বার্থে স্বেচ্ছাসেবীদের সবাইকে ক্লোজ গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ফলে যে কোন এলাকায় নাগরিক সেবা কার্যক্রমের ধীর গতি,অসঙ্গতি, অভিযোগ খুব সহজেই জানতে পারবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। সেই সঙ্গে তাৎক্ষণিক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সংস্থাটি।
বাসস/এমএসএইচ/১৯০৭/-কেএআর