শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রি ওয়াইফাই আওতাভুক্ত : শিগগিরই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও ফ্রি ওয়াইফাই জোন

458

নেত্রকোণা, ১৮ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় আজ থেকে উচ্চ গতির ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধার আওতাভুক্ত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের ৫৮৭টি সরকারি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং ট্রেনিং ইনস্টিটিউটগুলো শিগগিরই উচ্চ গতির ফ্রি ওয়াই-ফাই সুবিধার আওতাধীন আনা হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন বিটিসিএল এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার আজ নেত্রকোণায় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি ওয়াই ফাই জোনের উদ্বোধন করেন ।
শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোণা এর অস্থায়ী ক্যাম্পাসে উচ্চ গতির ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধার উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে আজ থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ওয়াই-ফাইয়ের মাধ্যমে উচ্চ গতির ইন্টারনেট ব্রডব্যান্ড ব্যবহারের সুবিধা পাবেন।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জানান, শিক্ষায় ডিজিটাল রূপান্তরের অংশ হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় প্রাথমিকভাবে সরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে উচ্চ গতির ইন্টারনেট ব্রডব্যান্ড সংযোগের আওতায় আনা হচ্ছে এবং পর্যায়ক্রমে দেশের সকল বেসরকারি কলেজ ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ সুবিধা স¤প্রসারণ করা হবে। এরমধ্যে রয়েছে ৫৮৭টি সরকারি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউটগুলোর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৪৩, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৫, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০৭, বরিশাল বিভাগে ৪৫, খুলনা বিভাগে ৮৩, রাজশাহী বিভাগে ৮৫, রংপুর বিভাগে ৫৬ এবং সিলেট বিভাগে ৩৩টি প্রতিষ্ঠান প্রাথমিকভাবে ফ্রি ওয়াই-ফাই সুবিধার আওতায় আসছে।
সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পর বিনামূল্যে সংশি¬ষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে ১০ এমবিপিএস হারে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এর আগে নেত্রকোণা জেলা প্রশাসন ভবনে স্বপ¬চূড়া প্রশিক্ষণ ল্যাব উদ্বোধন করেন। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগ থেকে ২০টি কম্পিউটার এই প্রশিক্ষণ ল্যাবের জন্য সরবরাহ করে।
অনুষ্ঠান সমূহে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল (বীর প্রতীক), যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, জেলা প্রশাসক (ডিসি) মঈনউল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আকবর আলী মুন্সি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিয়র রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার রায় ও পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।