বাসস দেশ-১২ : দীপন হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১ ডিসেম্বর পুনরায় দিন ধার্য করেছেন আদালত

119

বাসস দেশ-১২
দীপন হত্যা মামলা-সাক্ষ্য
দীপন হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১ ডিসেম্বর পুনরায় দিন ধার্য করেছেন আদালত
ঢাকা, ১৮ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়ছল আরেফীন দীপন হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১ ডিসেম্বর পুনরায় দিন ধার্য করা হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমান এদিন ধার্য করেন।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ি আজ এ মামলার প্রথম সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু কোন সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ সময় চেয়ে আবেদন করেন। আদালত ‘সময় আবেদনের’র পরিপ্রেক্ষিতে আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১ ডিসেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
ট্রাইব্যুনালের পেশকার রুহুল আমীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ১৩ অক্টোবর ঢাকার সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমান নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যূত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। সেইসঙ্গে মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
২০১৬ সালের ৩১ নভেম্বর রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের নিজ অফিসে জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সেদিন বিকেলে তার স্ত্রী রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন।
২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি দক্ষিণের সহকারী পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান। চার্জশিটে আটজনকে অভিযুক্ত ও ১১ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।
চার্জশিটে বলা হয়, দীপনকে হত্যার নির্দেশদাতা, মূল পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে ছিলেন পলাতক সৈয়দ জিয়াউল হক। আসামি খাইরুল, আবদুস সবুর ও মইনুলকে তিনি হত্যাকান্ডের আগে প্রশিক্ষণ দেন।
গত ১৯ মার্চ সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমান চার্জশিট আমলে নিয়ে ১১ জনকে অব্যাহতি দেন। এ ছাড়াও এ মামলার পলাতক আসামি জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- মইনুল হাসান শামীম (২৪) (সাংগঠনিক নাম সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান), মো. আ. সবুর (২৩) (সাংগঠনিক নাম আ. সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সাধ), খাইরুল ইসলাম (২৪) (সাংগঠনিক নাম জামিল ওরফে রিফাত ওরফে ফাহিম ওরফে জিসান), মো. আবু সিদ্দিক সোহেল (৩৪) (সাংগঠনিক নাম সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব), মো. মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (২৫) (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), মো. শেখ আব্দুল্লাহ (২৭) (সাংগঠনিক নাম জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের), সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক (৫০) (সাংগঠনিক নাম সাগর ওরফে ইশতিয়াক ওরফে বড় ভাই) এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব (২৮) (সাংগঠনিক নাম আবির ওরফে আদনান ওরফে আব্দুল্লাহ)।
বাসস/আদালত প্রতিবেদক/জেডআরএম/১৬৫২/কেজিএ