ফিফার গ্লোবাল ফুটবল ডেভেলপমেন্ট প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেলেন ওয়েঙ্গার

213

লসানে, ১৪ নভেম্বর ২০১৯ (বাসস) : ফিফার গ্লোবাল ফুটবল ডেভেলপমেন্ট প্রধান হিসেবে নিয়োগের মাধ্যমে ফুটবলে ফিরেছেন আর্সেনালের সাবেক ম্যানেজার আর্সেন ওয়েঙ্গার। এর মাধ্যমে বায়ার্ন মিউনিখের কোচ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের গুজবের অবসান হলো।
ফিফা জানিয়েছে বিশ্বজুড়ে পুরুষ ও নারী ফুটবলের উন্নয়ন বৃদ্ধিতে পুরো দায়িত্ব থাকবে আর্সেনাল ও মোনাকোর সাবেক এই কোচের উপর। এছাড়াও ফুটবলের সম্ভাব্য আইন পরিবর্তনসহ টেকনিক্যাল দিকগুলোও তিনি দেখাশুনা করবেন। এক বিবৃতিতে ৭০ বছর বয়সী ওয়েঙ্গার বলেছেন, ‘অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ এই চ্যালেঞ্জ নিতে আমি মুখিয়ে আছি। সব সময়ই বড় পরিসরে ফুটবলকে পর্যবেক্ষনের ব্যপারে আমার আগ্রহ ছিল। এ কারনেই শুধুমাত্র আমি এই দায়িত্বে আসিনি। ফিফার সাথে কাজ করার সুযোগটি মূলত হারাতে চাইনি।’
কোচ নিকো কোভাচকে বরখাস্তের পর বায়ার্ন মিউনিখের কোচ হিসেবে ওয়েঙ্গারের নাম জোড়েসোড়েই শোনা গিয়েছিল। ২০১৮ সালে আর্সেনাল ছাড়ার পর থেকে কোন ক্লাবের সাথে যুক্ত হননি ওয়েঙ্গার। আর্সেনালের সাথে দীর্ঘ ২২ বছরের সম্পর্কের অবসানের পর এই ফ্রেঞ্চম্যান এখন বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থায় গুরুত্বপূর্ণ একটি পদে আসীন হলেন।
ইউরোপে ওয়েঙ্গারের অধীনে গানার্সরা ক্রমাগতই একটি শক্তিশালী দলে পরিনত হয়েছিল। কোচ হিসেবে ওয়েঙ্গার আর্সেনালের হয়ে তিনটি প্রিমিয়ার লিগ, সাতটি এফএ কাপের শিরোপা জয় করেছেন। এছাড়া ২০০৬ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলেছিল আর্সেনাল। মোনাকোর হয়ে ১৯৮৭ সালে জিতেছেন ফ্রেঞ্চ লিগের শিরোপা। ১৯৯৫ সালে জাপানে যাবার আগে মোনাকোকে ফ্রেঞ্চ কাপের শিরোপাও উপহার দিয়েছিলেন।
এ সম্পর্কে ফিফা সভাপতি গিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেছেন, ‘ফিফায় তাকে স্বাগত জানাতে পেরে আমি দারুন উচ্ছসিত। যখন থেকে আমি ফিফায় এসেছি তখন থেকেই আমার মূল লক্ষ্যই ছিল ফুটবল কেন্দ্রীক সব কিছুকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বিশেষ করে যারা ফুটবল সম্পর্কে জানে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করা। ওয়েঙ্গার তেমনই একজন মানুষ। তার ফুটবলীয় অভিজ্ঞতা, কঠোর পরিশ্রম, স্ট্র্যাটেজিক ভিশন ফুটবলে দারুনভাবে কাজে আসবে বলেই আমার বিশ্বাস।