বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস গুতেরেস, কিমের

228

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-গুতেরেস-কিম-সাক্ষাৎ
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস গুতেরেস, কিমের

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার স্বাস্থ্যসেবাসহ রোহিঙ্গাদের সকল প্রকার মানবিক সহযোগিতা প্রদান করছে, বিপুল পরিমাণ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আগমনে স্থানীয় জনগণ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সহমর্মিতার কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘ মহাসচিব এ বিষয়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ বজায় রাখার এবং বাংলাদেশকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন, বলেন প্রেস সচিব।
জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গাদের ধর্মীয় গোড়ামির বিষয়ে আশংকা ব্যক্ত করে তাদের শিক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তাদের বিষয়ে মিয়ানমার আসলে কি করতে চায় সে বিষয়টি অনুধাবনের জন্য তিনি মিয়ানমারের ওপর আরো চাপ প্রয়োগের ওপরও জোর দেন।
অ্যান্তোনিও গুতেরেজ এ সময় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং বাংলাদেশের সমস্যার সমাধানে সহযোগিতার মনভাব নিয়ে এগিয়ে আসার জন্য বিশ্ব ব্যাংকের পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বলেন, উন্নয়ন কর্মকান্ড এবং মানবিক বিষয়বলী একযোগেই বাস্তবায়িত হবে।
বাংলাদেশ বিশ্ব ব্যাংকের ঋণের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহিতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আপনার নেতৃত্বের প্রতি আমাদের আস্থা এ থেকেই প্রতীয়মান হয়।’
এলডিসিভুক্ত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উত্তোরণের প্রশংসা করে বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি এ বিষয়ে ব্যাংকের বোর্ড অব গভর্নর্সদের সভায় একটি প্রস্তাব পেশ করবেন যাতে বাংলাদেশকে স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান করা হয়।
প্রেস সচিব বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেজ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সেইসাথে সন্ত্রাস দমন কর্মকান্ড এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির ভূয়শী প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশকে তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় অন্যতম সেরা দেশ হিসেবেও অভিহিত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলায় আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি সাম্প্র্রতিক বছরগুলোতে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের চুম্বক অংশ তুলে ধরে বলেন, কাঙ্খিত উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ দ্রুতলয়ে এগিয়ে চলেছে এবং গেল অর্থবছরে বাংলাদেশ ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ভূমিকা এবং শাান্তিরক্ষী প্রেরণে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশের ভূমিকারও প্রশংসা করেন।
তিনি ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ প্রদানের একটি আলোকচিত্রও প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, ইআরডি সচিব কাজী শহিদুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/একেএইচ/এফএন/১৮২০/আরজি