বাসস দেশ-৭ : উপকূলীয় অঞ্চলে বহুতল ভবন নির্মানের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে : ডা. এনামুর রহমান

161

বাসস দেশ-৭
ডা. এনাম-দুর্যোগ মোকাবেলা
উপকূলীয় অঞ্চলে বহুতল ভবন নির্মানের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে : ডা. এনামুর রহমান
ঢাকা, ১২ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, দুর্যোগের সময় জোর করে লোকজনকে সরিয়ে না নিতে উপকূলী অঞ্চলে বহুতল ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সরকারের টেকসই উন্নয়নে গৃহ নির্মাণের যে প্রকল্প রয়েছে, সে প্রকল্পে সিঙ্গেল ঘর নির্মাণ না করে, মাল্টিস্টোরেড ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। তাহলে যে কোন ধরনের দুর্যোগের সময় মানুষকে আর আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে হবে না।’
এনামুর রহমান আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাত থেকে রক্ষা করতেও উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে জোর করে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় বহুতল ভবন নির্মাণ করা হলে তাদের আর জোর করে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে হবে না।
ডা. এনামুর রহমান আজ রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে উপকূল ফাউন্ডেশন ও মাসিক এডুএইড’র উদ্যোগে আয়োজিত ‘ ভয়াল ১২ নভেম্বর : টেকসই উপকূল ভাবনা ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তবে এ কথা বলেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নিখিল রঞ্জন রায়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)’র চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ, বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (প্রশাসন) মো. জহুরুল হক, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. এস. এম মাকসুদ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. কিই এম মাহাবুব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এন্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরিন।
সভা পরিচালনা করেন উপকূল ফাউন্ডেশনের সমন্নয়ক এম আমিরুল হক পারভেজ চৌধুরী।
টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে মানুষের বাসস্থানের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার ৩ কোটি ঘর-বাড়ী নির্মানের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে ডা. এনামুর রহমান বলেন, সরকার নতুন করে ২৬ হাজার টেকসই বড়বাড়ী নির্মাণ করছে, আরো তিন লাখ এ ধরনের ঘরবাড়ী নির্মাণ করা হবে।
তিনি বলেন, ‘ আমরা বাংলাদেশকে দুর্যোগ সহনীয় একটি দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। কারণ উপকূলকে ও উপকূলবাসীদের দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।’
এনাম বলেন, সরকার এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে ভূমিকম্প সহনীয় হিসেবে দেশকে গড়ে তোলার জন্য জাপানের এবং উপকূলীয় এলাকায় বাঁধ নির্মাণের জন্য নেদারল্যান্ডের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হচ্ছে। দেশের ৭১০ কিলোমিটার উপকূলীয় এলাকায় আরসিসি ঢালাই দিয়ে উপকূলীয় বাঁধ নির্মাণে প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।
উপকূলীয় উন্নয়ন বোর্ড ও ১২ নভেম্বরকে উপকূল দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবির বিষয়ে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয় দু’টি ক্যাবিনেটে উপস্থাপন করা হবে। কারণ কোন বিষয়ে আলাদা বোর্ড বা অধিদপ্তর না থাকলে সে বিষয়ে উন্নয়ন কর্মকান্ড জোরদার হয় না। এ দাবী দু’টি অত্যন্ত সময়োচিত দাবি।
সুলতান আহমেদ বলেন, ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বরের ভয়াল ঘূর্ণিঝড় বাঙ্গালীদের প্রতি পাকিস্তানের তদানিন্তন শাসকগোষ্ঠীর চরম অবহেলা ও বৈষম্যের বিষয়টিকে প্রকট করে তুলেছিল। আর মনস্তাত্বিকভাবে এ ঘূর্ণিঝড় আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছিল।
বাসস/এএসজি/এমএএস/১৪৫৫/এমএবি