দিল্লীতে রোহিঙ্গা প্রস্তাবের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন কামনা

333

নয়াদিল্লী, ১১ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে ওআইসি ও ইইউ’র যৌথ প্রস্তাবে সমর্থন কামনা করেছেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী।
বাংলাদেশে কর্মরত মিশন প্রধানগণসহ নয়াদিল্লী ভিত্তিক প্রায় ৪৫ জন বিদেশী কূটনীতিককে ব্রিফিংকালে এই সমর্থন কামনা করা হয়। ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
‘দি সিচুয়েশন অফ হিউম্যান রাইটস অফ রোহিঙ্গা মুসলিম এন্ড আদার মাইনোরিটিস্ ইন মিয়ানমার’ শীর্ষক প্রস্তাবনাটি উপর্যুপরী তৃতীয় বছরের মতো আগামী ১৪ নভেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটির চলমান অধিবেশনে পেশ করা হবে। এটি গত দুই বছরে জাতিসংঘের সদস্যদের বিপুল সমর্থন পেয়েছে বলে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ব্রিফিং এ সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমার থেকে জোর করে বাস্তুচ্যুত হওয়া দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ আশ্রয় দেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের সর্বশেষ জন¯্রােত দেখে ‘শুধু মানবিক বিবেচনায়’ সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেন। এ প্রসঙ্গে হাইকমিশনার রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসনের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের গত সাধারণ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার করা চার দফা প্রস্তাব উল্লেখ করেন।
ব্রিফিং-এ হাইকমিশনার কূটনীতিকদের বলেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তন ও পুনর্বাসনের আহ্বান জানিয়ে গত ইউএনজিএ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থাপন করা চার দফা প্রস্তাব উল্লেখ করেন।
হাইকমিশন আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, চার দফা পরিকল্পনার ভিত্তিতে মিয়ানমারের উপর একটি ধারাবাহিক ও টেকসই আন্তর্জাতিক চাপ দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য সহায়ক হতে পারে।
শেখ হাসিনার প্রস্তাবনা উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা সমস্যার মূল কারণগুলো নিরসন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অন্যান্য নৃশংসতাসহ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।