আরচারীর পাশে থাকবে সিটি গ্রুপ

173

ঢাকা, ৯ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : যে কোন খেলার জন্যই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন স্পন্সর বা অর্থ। তবে অর্থও সব সময় একটি খেলাকে কাংখিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারেনা। যদি না থাকে জবাব দিহিতা, স্বচ্ছতা। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশন ব্যতিক্রম। হাটি-হাটি পা-পা করতে করতে বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশন আজ দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে নিয়ে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়। যার মূলে রয়েছে জবাব দিহিতা ও স্বচ্ছতা।
‘গো ফর গোল্ড’ স্লোগান নিয়ে ২০১৭ সালের অক্টোবারে বাংলাদেশ আরচারী ফেডারেশনের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে পাঁচ বছরের জন্য যুক্ত হয়েছিল সিটি গ্রুপ। তারই ধারাবাহিকতায় ফেডারেশনে নিযুক্ত হন জার্মান মার্টিন ফ্রেডিক্স। তারপর প্রায় প্রতি আসরে এসেছে সাফল্য। চলতি বছর সেপ্টেম্বরে ফিলিপাইনে এশিয়া কাপ ওয়াল্ড র‌্যাংকিং টুর্নামেন্ট পর্যন্ত বিভিন্ন আসর থেকে আসে ১৫টি স্বর্ণ, ১৮টি সিলভার ও ১০টি ব্রোঞ্জ পদক। নেদারল্যান্ডসে ওয়াল্ড আরচারী চ্যাম্পিয়নশীপে ব্রোঞ্জ জিতে রোমান সানা ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় তৃতীয় বছরের জন্য আরচারীর জন্য তৃতীয় বছরে ২ কোটি ৪১ লাখ টাকার বাজেট বরাদ্ধ করেছে পৃষ্টপোষক প্রতিষ্টান। কোন কোন খাতে এ অর্থ খরচ হবে তারও রুপরেখা তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে। সব কিছু বিশ্লেষন করে দেখা গেছে স্পন্সর প্রতিষ্টান দেশের আরচারির উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বেশি অর্থ বরাদ্দ করেছে। যার মধ্যে অন্যতম ছিল খেলোযাড়দের জীবন যাত্রার মানোন্নয়নও। এই স্বল্প সময়ে এ সাফল্যের মূলে ছিল পরিকল্পনা মত ও স্বচ্ছতার সঙ্গে পাওয়া অর্থ খরচ করা।
আরচারির জন্য তৃতীয় বছরের বাজেট বরাদ্দের ঘোষণা দিতে আজ অলিম্পিক এসোসিয়েশেন এক সংবাদ সম্মেলন করেন ‘তীর’-এর মূল প্রতিষ্ঠান মেঘনা গ্রুপ। সংবাদ সম্মেলনেই আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন সিটি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক জাফরউদ্দিন সিদ্দিকী। আরচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিবউদ্দিন চপল জানান, আমার পৃষ্ঠপোষকদের কাছ থেকে চ্যারেঞ্জ নিয়েছিলাম, অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েছি। এবার মূল লক্ষ্য অনেকটা কাছাকাছি। জাতীয় দলের সব খেলোয়াড়ই এখন থেকে সিটি গ্রুপের অ্যাম্বসেডসর। বাংলাদেশের আরচ্যারীর প্রসার এখন অনেক দেশের কাছেই অনুকরণীয়। এ সময় অন্যাসেন্যর মধ্যে আরো উপস্থি ছিলেন আরচারি ফেডারেশনের মিডিয়া. প্রকাশনা ও জনসংযোগ কমিটির আহবায়ক রফিকুল ইসলাম টিপু, ফেডারেশনেরসহ সম্পাদক রশিদুজ্জামান সেরনিয়াবাত প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে কোচ মার্টিন জানান, আন্তর্জাতিক সাফল্য থাকলেও এখন পর্যন্ত এসএ গেমসে স্বর্ণ নেই। আগামী মাসে নেপালে ১৩তম দক্ষিণ এশীয় আসরে অন্তত দৃুটি স্বর্ণের প্রত্যাশা ফেডরেশনের। কোচের সঙ্গে একই সুরে সাধারণ সম্পাদকও জানান পদক আরও বাড়তে পারে।