শিক্ষার্থীদের উস্কানিদাতাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি প্রধানমন্ত্রীর

1394

ঢাকা, ৯ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনের নামে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালগুলোতে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য দায়ীদের কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, উস্কানি দিয়ে শিক্ষার্থীদের ভুল পথে নেওয়াকে কেউ মেনে নিতে পারে না। যারা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের শিক্ষার্থীদের উস্কানি দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন,সবাইকে মনে রাখতে হবে উচ্চ শিক্ষার এসব প্রতিষ্ঠান সরকারি অর্থে পরিচালিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উস্কানি দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিপদগামী করে আবার মিষ্টি মিষ্টি কথা বলা কখনো মেনে নেয়া যায় না। আর তা যদি করতে হয় তাহলে নিজেদের অর্থ নিজেদের জোগান দিতে হবে।’
তিনি আরো বলেন,‘নিজেদের বেতন নিজেরা দেবে এবং নিজেদের খরচ নিজেরাই চালাবে, সরকার সব টাকা বন্ধ করে দেবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। সরকার কেন টাকা খরচ করবে। সেটাও তাদের চিন্তা করতে হবে, তারা কোনটা করবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ অপরাহ্নে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় শ্রমিক লীগের ১৩ তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্ধোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শ্রম এবং কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান এবং আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা’র (আইএলও) কান্ট্রি ডিরেক্টর তুয়োমো পটিয়াইনেন, আন্তর্জাতিক টেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন এশিয়া প্যাসিফিক’র (আইটিইউসি-এপি) সাধারণ সম্পাদক শোভা ইওশিদা এবং দক্ষিণ এশিয় আঞ্চলিক ট্রেড ইউনিয়ন কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক লক্ষন বাহাদুর বাসনেত ও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
জাতীয় শ্রমিক লীগ সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন। দলের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু শোক প্রস্তাব পাঠ করেন এবং সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য দেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এই সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
তাঁর সরকারের লক্ষ্য দেশের মানুষের কল্যাণ এবং উন্নয়ন করা, যে লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালগুলোতে স্বল্প ব্যয়ে উচ্চশিক্ষার যে সুযোগ সরকার দিচ্ছে তার বিস্তারিত তুলে ধরেন।
সরকার প্রধান বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শায়ত্ত্বশাসন আছে একথা সত্যি। কিন্তু টাকাটা তো সরকার দিচ্ছে। সরকারের দেয়া টাকা ইউজিসিতে (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন) যায়, সেখান থেকে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া হয় এবং সমস্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা, যা কিছু তারা পাচ্ছেন তা দেওয়া হয়।
বিশ্বের আর কোথাও বাংলাদেশের মত এত স্বল্প খরচে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া শিক্ষার্থীর মাসে শিক্ষা ব্যয় দেড়শ’টাকার বেশি হয় না। যদি বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যান তবে, দেখবেন কত লাখ টাকা লাগে প্রতি সেমিস্টারে। প্রায় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা খরচ হয় এক একজন শিক্ষার্থীর পেছনে । প্রকৌশল বা কারিগরি শিক্ষায় আরো বেশি টাকা খরচ হচ্ছে । কাজেই সেখানে শৃঙ্খলা থাকতে হবে।
আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় শিক্ষা ব্যয়ের জোগান সরকারকেই দিতে হয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন,‘ সেখানে ডিসিপ্লিন থাকবে,শিক্ষার্থীরা উপযুক্ত শিক্ষা পাবে এবং নিজেদের জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলবে সেটাই আমরা চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন- পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কী আমরা তা বুঝি না। যারা পড়াশোনা নষ্ট করে সেখানে ধর্মঘট করে দিনের পর দিন কর্মঘন্টা নষ্ট করবেন। ছেলে-মেয়েদের পড়া-শোনা ব্যহত করবেন ,তারাই সব বুঝবেন । আর আমরা বুঝবো না, এটাতো হয় না।’
সরকার প্রধান বলেন,‘অর্থ সরকার দেবে। সবরকম উন্নয়ন প্রকল্প সরকার বাস্তবায়ন করবে। আর সেখানে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে না, এটাও হতে পারে না।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কথায় বলে স্বাধীনতা ভাল কিন্তু তাহা বালকের জন্য নহে।এটাও মাথায় রাখতে হবে। ’
দাবি মেনে নেওয়ার পরেও ক্ষেত্র বিশেষে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত রাখার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া এবং শিক্ষার সময় যেন নস্ট না হয়। উপযুক্ত সময়ে তাঁরা ভাল রেজাল্ট করবে এবং তাঁরা জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলবে, সেটাই আমরা চাই।’


তিনি বলেন,‘ দেশের আইনে আছে কেউ যদি কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে এবং সেটা যদি প্রমাণিত না হয় অভিযোগকারির ঐ আইনে বিচার হয়,সাজা হয়। কাজেই যারা কথা বলছেন তারা আইনগুলো ভালভাবে দেখে নেবেন।’
তিনি বলেন,‘আমরাও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলাম এবং পড়াশোনা করেই এতদূর এসেছি। এটাও ভূলে গেলে চলবে না।’
‘যে বাংলাদেশে ’৭৫ এর পরে প্রতি রাতে ক্যু হতো। যেখানে হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি চলতো সেই বাংলাদেশ বিগত প্রায় এক দশকে অনেক দূর এগিয়েছে’.-এমন অভিমত ব্যক্ত করে করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন,‘আজকে যারা বড় বড় কথা বলেন তাদের কোনদিন ঐ সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে কথা বলতে শুনিনি বরং তাদের পদলেহন করতেই দেখেছি, এটা হলো বাস্তবতা।’
‘আমাদের প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১৩ ভাগে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি ’উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘মাথাপিছু আয় এক হাজার ৯০৯ মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছি এবং শতভাগ শিক্ষার্থী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শিখছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচন, গণতন্ত্রকে সুসংহত এবং দেশের অর্থনীতির দ্রুত বিকাশের লক্ষ্যে সব শ্রেণির মানুষকে নিয়ে একটি জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ওই ঐক্যের নাম ছিল বাকশাল, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক লীগ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বন্ধ শিল্প কারখানাগুলোর মালিক যারা পাকিস্তানি ছিলেন সেই কারখানাগুলো জাতীয়করণ করে পুনরায় চালু করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘যতগুলো সাব ডিভিশন অর্থাৎ মহাকুমা ছিল প্রত্যেকটা মহাকুমা তিনি একটা জেলায় রূপান্তর করে সেখানে গভর্নর নিযুক্ত করেছিলেন। যাতে ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করে একবারে তৃণমূল মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দেয়া যায়।’
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পদক্ষেপের ফলে দেশের শিল্পায়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের শ্রমিক এবং মেহেনতী মানুষ এবং তাঁদের পরিবার পরিজনের জন্য সুন্দর ভবিষ্যত নিশ্চিত করাই আমাদের কাজ। এটাই আওয়ামী লীগের নীতি আর এই নীতি নিয়েই আমরা দেশ পরিচালনা করছি।’
শান্তি, শিল্পায়ন এবং উন্নয়ন নিবিঢ়ভাবে সম্পর্কযুক্ত উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ কারণেই ’৯৬ সালে তাঁর সরকার শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করে দিয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে বিএনপি সরকার এসে তা কার্যকর করেনি।
‘সে সময় ‘৮শ বা ৯শ’ থেকে শ্রমিকদের বেতন ১৬শ’ করে দেওয়া হয়েছিল,’বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার শ্রমিকদের বেতন তিনবারে ৩শ ৮০ শতাংশ বাড়িয়ে ৮ হাজার টাকায় (গার্মেন্টস শ্রমিক) উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছে। বেসরকারী খাতেও ন্যূনতম বেতন বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
শ্রমিকদের কল্যাণে গৃহীত বিভিন্ন পক্ষেপের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক এবং অপ্রাতিষ্ঠানিত খাতে যেসব শ্রমিকরা কাজ করেন তাদের কল্যাণের জন্য সরকার শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল গঠন করেছে। যে তহবিলে এখন ৪শ’ কোটি টাকা এখন জমা রয়েছে এবং যে তহবিল থেকে শ্রমিকের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষার জন্য সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা পর্যন্ত সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে।’
তাঁর সরকার শ্রমিকদের কল্যাণে অনেকগুলো আইন প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, শিশু শ্রম বন্ধে ‘শিশু শ্রম নিরসন নীতিমালা-২০১০’ প্রণয়ন এবং ‘বাংলাদেশ শ্রম নীতিমালা-২০১২’ প্রণয়ন করা হয়েছে।
‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য সেফটি নীতিমালা-২০১৩’, ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি-২০১৫’ প্রণয়ন, গার্মেন্টস শিল্প শ্রমিকদের কল্যাণে কেন্দ্রিয় তহবিল গঠন এবং ‘জাতীয় শ্রম নীতি’ বাস্তবায়নের প্রসঙ্গও তুলে আনেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে, দেশের মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিবছর যেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে শ্রমিকদের বেতন শতকরা ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায় সেইসাথে শ্রমিকদের জন্য রেশনিং প্রথা চালু, হাসপাতাল, শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য স্কুল এবং আবাসনের জন্য ডরমেটরী নির্মাণ এবং অনলাইনের মাধ্যমে ‘লেবার ম্যানেজমেন্ট অ্যাপস’ চালুর তথ্যও তুলে ধরেন।
তিনি, চা শিল্পের কল্যাণে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্যে ‘চা শিল্প আইন-২০১৫’,‘শ্রমিক কল্যাণ আইন-২০১৫’ এবং ‘চা শ্রমিক কল্যাণ তহবিল-২০১৬’ গঠনেরও উল্লেখ করেন।
প্রবাসে গমনেচ্ছু এবং প্রবাসে বসবাসরত শ্রমিকদের কল্যাণে ‘প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা’ এবং প্রবাস গমনেচ্ছুদের জন্য প্রশিক্ষণের উদ্যোগ এবং ‘পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠা এবং ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ কর্মসূচির মাধ্যমে শ্রমিক কল্যাণের বৃত্তান্ত ও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী যুব সমাজের কল্যাণে কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে বিনা জামানতে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ গ্রহণের সুবিধার উল্লেখ করেন।
শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার প্রদেয় ট্রেড ইউনিয়ন স্ুিবধার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে ২০১৩ সালে তৈরী পোষাক শিল্পে ট্রেড ইউনিয়নের সংখ্যা ৮২টি থেকে বেড়ে ৮৮২টি হয়েছে। তাছাড়া সকল সেক্টর মিলে সারাদেশে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নের সংখ্যা হয়েছে ৮ হাজার ৩৪টি এবং দেশে শ্রমিক ফেডারেশনের সংখ্যা বর্তমানে ৩২টি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর উন্নত দেশের এতগুলো ট্রেড ইউনিয়ন রয়েছে কি না, আমার জানা নেই।’
রাজধানীর বিজয় নগরে ২৫ তলা শ্রম ভবন নির্মাণে সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী নারী শ্রমিকদের জন্য ডরমেটরী নির্মাণ এবং নারী উদ্যোক্তাদের জন্য জয়িতা ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ ও তুলে ধরেন।
সরকার প্রধান বলেন, শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা, প্রশিক্ষণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক সেবা প্রদানে বাগেরহাটের মোংলা, খুলনার রুপসা, বগুড়া এবং গাইবান্ধায় শ্রমিক কল্যাণ কেন্দ্র তৈরী করে দিচ্ছি। একইসঙ্গে রাঙ্গামাটির ঘাঘড়াতে শ্রমিকদের হোস্টেল সহ শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র তৈরীর কাজ চলছে। এ সময় গার্মেন্টস কর্মীদের জন্য মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য ‘ডে কেয়ার সেন্টার’ এবং আশুলিয়া ও সাভারে ১৬ তলা ‘শ্রমিক হোস্টেল’ নির্মাণের উদ্যোগও তুলে ধরেন তিনি।


অনুষ্ঠানে ফসলী জমি নষ্ট করে যত্রতত্র শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে না তোলার জন্য উদ্যোক্তাদের প্রতি আহবান পুণর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিল্প মালিকেরাও নিজস্ব শ্রমিকদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহায়ণ তহবিল থেকে মাত্র ২ শতাংশ সার্ভিস চার্জে ঋণ নিয়ে হোষ্টেল বা ডরমেটরী নির্মাণ করে দিতে পারেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা শ্রম দেয়, শাথার ঘাম পায়ে ফেলে অর্থ উপার্জন করে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে তাঁদের কল্যাণ করাই আওয়ামী লীগের নীতি। এটা আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিখিয়ে গেছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্যাটেলাই-১ মহাকালে শউৎক্ষেপর সহ দেশের সাড়ে ৩ হাজার ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়ায়ায় তাঁর সরকারের সাফল্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী, শ্রমজীবী মানুষের জন্য সরকারের বিভিন্ন ভাতা, তাঁদের সন্তানদের জন্য বৃত্তি-উপবৃত্তি সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদানের তথ্য তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের ধারাবাহিকতা আছে বলে মানুষ উন্নয়নের সুফলটা পাচ্ছে। মানুষ উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখছে। শিল্পায়ন এগিয়ে যাচ্ছে। শ্রমিক সমাজের ভাগ্যোন্নয়নে আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই কাজ করেছে। ’
তিনি বলেন, মানুষকে আমরা মানুষ হিসেবেই গণ্য করি। তাঁদের শ্রমের মর্যাদা আমরা দেই। কাজেই আমি চাই আমাদের শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীরা শ্রমিক শ্রেণীর মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন, যা তারা করেও যাচ্ছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামীতে নতুন কমিটির মাধ্যমে শ্রমিক লীগের যে নতুন নেতৃত্ব আসবে তাঁরাও শ্রমিক শ্রেনীর কল্যাণে কাজ করবেন এবং দেশের উন্নয়ন যাতে আরো দ্রুত হয় এবং দেশ যেন এগিয়ে যায় সে বিষয়ে সচেষ্ট থাকবেন।’