বাসস দেশ-৬ : মেজর গণির ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট মুক্তিযুদ্ধে অপরিসীম ভূমিকা রাখে

145

বাসস দেশ-৬
মেজর গণি- দিবস
মেজর গণির ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট মুক্তিযুদ্ধে অপরিসীম ভূমিকা রাখে
ঢাকা, ৯ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস): মেজর এম এ গণির গড়া ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় অপরিসীম ভূমিকা রাখে।
ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের পথ ধরেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্ম হয়।
মেজর গনির ৬৩তম মৃত্যু দিবস উপলক্ষে আজ রাজধানীর রাওয়া হেলমেট মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন।
আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন- সাবেক সেনা প্রধান মেজর জেনারেল কে এম শফিউল্লাহ বীর উত্তম ও লে. জেনারেল নূর উদ্দিন খান একং মেজর জেনারেল (অব.) ইমামুজ্জামান বীর বিক্রম, মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক, মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান, মেজর জেনারেল জামিল ডি আনাম, সেনা কর্মকর্তা সায়েদুল আনাম, মেজর গনির ভাগ্নে সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, সাংবাদিক আবুল কাশেম হৃদয়, মেজর গণি পরিষদের সভাপতি মো. হুমায়ূন কবির প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাওয়া’র চেয়ারম্যান মেজর খন্দকার নুরুল আফসার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কর্নেল মো.আবদুল হক।
আলোচকরা বলেন, বাঙালির সামরিক ঐতিহ্য দীর্ঘদিনের। ১৯১৫ সালে ‘দি বেঙ্গল অ্যাম্বুলেন্স কোর’ এবং পরে একটি ব্যাটালিয়ন বা বাঙালি পল্টন গঠনের মধ্য দিয়ে সে ঐতিহ্যের বীজ বপিত হয়। তা ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়। পরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বাঙালি মুসলমানদের পাইওনিয়ার রেজিমেন্ট গঠনের মধ্য দিয়ে বাঙালি সামরিক জাতি হিসেবে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেয়। যে দুটি পাইওনিয়ার রেজিমেন্ট সে সময় গঠন করা হয়, তার একটি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব পালন করেন মেজর এম এ গণি। যিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের জনক হিসেবে সুখ্যাত।
বক্তারা বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বার্মা ফ্রন্টে যুদ্ধে অংশ নেয়া মেজর গণির দূরদর্শী চিন্তার ফসল দেশবিভাগের পর পাইওনিয়ার কোম্পানি থেকে বাঙালি সৈনিকদের নিয়ে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠা । সারা দেশ ঘুরে তিনি সৈন্য বিভাগের যোগ্য যুবকদের সংগ্রহ করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এই ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ব্যাটালিয়নের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। মুক্তিযুদ্ধে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মহান আত্মত্যাগ ও অসাধারণ অবদানের ওপর ভিত্তি করেই গড়ে ওঠে বাংলাদেশের গৌরব বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী। ১৯৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী ও বাংলাদেশের সশস্ত্র ও মুক্তিবাহিনীর সমন্বয়ে যুক্তকমান্ড যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। দেশব্যাপী মরণপণ যুদ্ধের পর বাংলাদেশ লাভ করে মহান স্বাধীনতা।
বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সূচনাতে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৫টি ইউনিট বিদ্রোহ ঘোষণা করে। পুরো বাংলাদেশকে চারটি অঞ্চলে ভাগ করে মুক্তিযুদ্ধের জন্য বিদ্রোহী উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়। ইস্ট বেঙ্গলের ৮টি ব্যাটালিয়নকে ১১টিতে উন্নীত করে ‘এস’, ‘কে’ ও ‘জেড’ ফোর্সের অধীন করা হয়।
মেজর আবদুল গনি ১৯১৫ সালের ১ ডিসেম্বর কুমিল্লা জেলার ব্রা‏হ্মণপাড়া উপজেলার নাগাইশ গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৭ সালের ১১ নভেম্বর মেজর গণি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বার্লিনের এক হাসপাতালে মৃত্যুবরন করেন।
বাসস/ডিএ/১৪৪০/এমএসআই