বাসস ক্রীড়া-১ : ২৫-৩০ রান কম ছিল আমাদের : মাহমুদুল্লাহ

157

বাসস ক্রীড়া-১
ক্রিকেট-টি-২০
২৫-৩০ রান কম ছিল আমাদের : মাহমুদুল্লাহ
রাজকোট, ৮ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : দাপটের সাথে প্রথম ম্যাচ জিতেই সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু সেটি হতো দিলেন না ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। গতরাতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে একাই বাংলাদেশকে হারিয়ে দেন তিনি। ব্যাট হাতে ৪৩ বলে ৮৫ রানের বিধ্বংসী খেলে ৮ উইকেটের জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ভারতকে সমতায় ফেরালেন রোহিত। দলের এমন হারের জন্য ব্যাটসম্যানদের দুষছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘উইকেট খুবই ভালো ছিলো। তবে আমাদের ২৫-৩০ রান কম ছিলো।’
রাজকোটের সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে দারুন সূচনা করেছিলো বাংলাদেশ। দুই ওপেনার লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাইম ৪৪ বলে ৬০ রানের জুটি গড়েন। তাতে বড় স্কোর ভিত পায় টাইগাররা। কিন্তু লিটনের ২৯, নাইমের ৩৬ ও তিন নম্বরে নামা সৌম্য সরকারের ৩০ রানের পর পথ হারায় বাংলাদেশ। মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যানরা দলের হাল ধরতে ব্যর্থ হন। আগের ম্যাচের হিরো মুশফিকুর রহিম মাত্র ৪ রান করে বিদায় নেন। এছাড়া আফিফ হোসেন ৬, মোসাদ্দেক হোসেন ৭ ও আমিনুল ৫ রান করে। তবে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ বড় ইনিংস খেলার চেষ্টা করেছিলেন। তার ২১ বলে ৩০ রানের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৩ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ২ উইকেটে ৯৭ রান সংগ্রহের পরও ভারতের মত দলের সামনে ১৫৪ রানের টার্গেট শক্তপোক্ত নয়। আর সেটি প্রমান করেছেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত। ব্যাট হাতে একাই বাংলাদেশকে ধসিয়ে দিয়েছেন তিনি। শিখর ধাওয়ানকে নিয়ে ১১৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন রোহিত। তাই ম্যাচ থেকে ২৫-৩০ রানের আক্ষেপ ঝড়ে মাহমুদুল্লাহ’র কন্ঠে।
মাহমুুদুল্লাহ বলেন, ‘এই উইকেটে আমাদের অন্তত ১৭৫ রান করা উচিত ছিল। রোহিত-শিখর দুর্দান্ত শুরু করে। আর সেখানেই ম্যাচ জয়ের কাজ সেড়ে ফেলে ভারত। তাই রোহিত-ধাওয়ানকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। স্কোর ডিফেন্ড করার একটা সুযোগ আমাদের পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমরা তা করতে পারিনি।’
গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট হারানোয় ম্যাচ থেকে ছিটকে যান বলে জানান মাহমুদুল্লাহ, ‘গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমরা উইকেট হারিয়েছি। যা আমাদের পিছিয়ে দিয়েছে। এ ম্যাচে আমরা যেসব ভুল করেছি দল হিসেবে সেগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। কিছু জায়গায় উন্নতি করতে হবে। বিশেষ করে ব্যাটিং-এ।’
লিটন-নাইম-সৌম্যর দুর্দান্ত শুরুর পরও শেষ দিকে ব্যাটসম্যানরা নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। তাই বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। তবে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত উইকেটে নিজের টিকে থাকাটা উচিত ছিলো বলে জানান মাহমুদুল্লাহ, ‘আমি পরের দিকের ব্যাটসম্যানদের বিশেষ করে আফিফ যেভাবে খেলে থাকে সেভাবেই চেষ্টা করেছিল। হয়তো আজকে ভালো করতে পারেনি। আমারও কিছুটা দোষ ছিলো। আমিও ১৯তম ওভারে আউট হয়ে গেছি। আমি যদি শেষ সময় পর্যন্ত থাকতাম হয়তো আরো কিছু রান করতে পারতাম।’
উইকেটের বিচারে ম্যাচের দুই স্পিনার বাংলাদেশের আমিনুল ইসলাম ও ভারতের যুজবেন্দ্রা চাহালের বোলিংয়েরও প্রশংসা করেন মাহমুদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘এমন পিচ হলে রিস্ট স্পিনারদের সেটা খুব সহায়তা করে। চাহাল সেটাই করে দেখিয়েছে। আমিনুলকে পাওয়াটাও আমাদের জন্য বড় প্রাপ্তি। যেভাবে ভূমিকা রাখছে, আশা করবো এভাবেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখবে সে।’
বাংলাদেশের ইনিংসে ১৬টি চারের সাথে একটি ছক্কা ছিলো। তবে ইনিংসে ডট বল ছিল ৩৮টি। ডট বলের হিসাবকে বড় কোন সমস্যা নয় বলে জানান মাহমুদুল্লাহ, ‘আমার মনে হয়, একটি টি-২০ ম্যাচে যদি ৪০টির ওপরে ডট বল থাকে তাহলে আপনার ম্যাচ জেতার সুযোগ কম থাকে। সেখানে আমরা ৩৮টি ডট বল খেলেছি। হয়তো ঠিক আছে, তবে আরও উন্নতি করতে হবে।’
মুশফিকুর রহিমের ব্যাটিং তান্ডবে দিল্লিতে সিরিজের প্রথম ৭ উইকেটে জিতেছিলো বাংলাদেশ। তবে রাজকোটে দ্বিতীয় ম্যাচ হেরে সিরিজে সমতায় দাড়িয়ে টাইগাররা। তাই সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-২০ অঘোষিত ফাইনাল। শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে নাগপুরে। ঐ ম্যাচকে নিয়ে মাহমুদুুল্লাহ বলেন, ‘নাগপুরে যখন যাবো সেখানকার কন্ডিশন সম্পর্কে আগে আমাদের বুঝতে হবে। এছাড়া আমাদের আরও বেশি মাত্রায় ইতিবাচক থাকতে হবে।’
বাসস/এএমটি/১৬২৫/স্বব