বাসস দেশ-১২ : ভোলায় ঘুর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবেলায় ৬৬৮টি আশ্রয়ণ কেন্দ্রসহ সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ

135

বাসস দেশ-১২
ভোলা-ঘূর্ণিঝড়-প্রস্তুতি
ভোলায় ঘুর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবেলায় ৬৬৮টি আশ্রয়ণ কেন্দ্রসহ সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ
ভোলা, ৮ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : জেলায় ঘুর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবেলায় ৬৬৮টি আশ্রয়ণ কেন্দ্রসহ সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
শুক্রবার জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো: মাসুদ আলম সিদ্দিক এ কথা জানান।
তিনি বলেন, মাঠে কাজ করছে ১৩ হাজার সেচ্ছাসেবীনিয়োগ করা হয়েছে। খোলা হয়েছে মোট ৮টি কন্ট্রোল রুম। গঠন করা হয়েছে ৯২টি মেডিকেল টিম। সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে উপকুলে চালানো হচ্ছে সতর্ককতামূলক প্রচারণা। ঘুর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় জেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। জেলার ৭ উপজেলায় ৭টি ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়েসহ মোট ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এখান থেকে দূর্যোগকালীন সময়ে সকল তথ্য সরবরাহ করা হবে। পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রীসহ, শুকনা খাবার, চাল, টিন মজুদ রয়েছে। বাতিল করা হয়েছে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের ছুটি।
এদিকে, বুলবুল’র প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ভোলায় সকাল থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেই সাথে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। নদী ও সাগর ক্রমশই উত্তাল হয়ে উঠছে। অনেক জেলেদের নিরাপদে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
জেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী (সিপিপি) উপ-পরিচালক সাহাবুদ্দিন মিয়া বাসস’কে বলেন, জেলার মোট প্রায় ১৩ হাজার সেচ্ছাসেবীর মধ্যে সিপিপি’র সদস্য রয়েছে ১০ হাজার ২০০, স্কাউট রয়েছে ৫০০ ও রেডক্রিসেন্ট’র রয়েছে ২ হাজার জন। ইতোমধ্যে সিপিপি’র ৬৮০টি ইউনিটে ১টি করে সংকেত পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ইউনিট’র আওতায় ২ থেকে ৩ হাজার মানুষের বসবাস। উপকূলজুড়ে সাধারণ জনগণকে সতর্ক অবস্থায় থাকার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। পরবর্তিতে সতর্কতা সংকেত বৃদ্ধি পেলে জনগনকে সাইক্লোণ সেল্টারে আসার জন্য আহবান জানানো হবে বলে জানান তিনি।
এছাড়া বুলবুল’র প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চারা রোপণ, সেচ, সার,কিটনাশক, বালাইনাশক প্রয়োগ থেকে বিরত থাকার জন্য আহবান জানানো হয়েছে।
বাসস/এইচ এ এম/এমএআর/১৬২২/-আসাচৌ