বাসস ক্রীড়া-১১ : স্টেডিয়াম রক্ষণাবেক্ষণের উৎকৃষ্ট উদাহরণ এসসিএ

133

বাসস ক্রীড়া-১১
ক্রিকেট-রাজকোট-স্টেডিয়াম
স্টেডিয়াম রক্ষণাবেক্ষণের উৎকৃষ্ট উদাহরণ এসসিএ
রাজকোট, ৫ নভেম্বর ২০১৯ (বাসস) : বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট এসোসিয়েশনগুলো স্টেডিয়াম রক্ষণাবেক্ষণে ব্যর্থ হলেও, সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে একটি স্টেডিয়াম কিভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করে সঠিক পথে রাখা যায় তার উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত হতে পারে সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট এসোসিয়েশন (এসসিএ)।
এসসিএ স্টেডিয়ামটি রাজকোট শহরের কিছুটা বাইরে। ভেতরটা দেখলে মনে হবে মাঠে সবুজ কার্পেট পেতে রাখা হয়েছে। নিয়মিত পরিচর্যার মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ স্টেডিয়ামটিকে একেবারেই ঝকঝকে তকতকে করে রেখেছে।
সিএসএ’তে মাঝখানে রয়েছে ১২টি উইকেট। আর তাদের নেট অনুশীলন স্থলটি হচ্ছে ভারতের মধ্যেই সর্ববৃহৎ ভেন্যুগুলোর একটি। যেখানে অনুশীলনের জন্য ব্যাটসম্যানদের জন্য রাখা হয়েছে ২৮টি উইকেট। বোলাররাও সেখানে তাৎক্ষনিক অনুশীলন সম্পন্ন করতে পারেন।
সিএসএ’র স্টেডিয়াম রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রমটি হতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) জন্য একটি ভাল উদাহারণ। বাংলাদেশের স্টেডিয়ামে বেশী পরিমান খেলার আয়োজন করতে হয় বলে বিসিবির জন্য স্টেডিয়ামের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করা কঠিন হয়ে যায়।
তবে সিএসএ’র জন্য সে রকম কোন সমস্যা নেই। এটি জনপ্রিয় কোন স্টেডিয়ামও নয়। কারণ তারা দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচের আয়োজন করেছে মাত্র। সিএসএ’র সাধারণ সম্পাদক হিমাংশু সাহা বাংলাদেশ দলের ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ পেয়ে দারুণ রোমাঞ্চিত। তিনি বলেন সব কিছু সঠিক রাখতে এজেন্সির মাধ্যমেই এই স্টেডিয়াম রক্ষনাবেক্ষন করা হয়।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সাহা বলেন,‘ ২০১৩ সাল থেকেই আইপিএলের ম্যাচ সহ সব ধরনের ম্যাচের জন্য সম্পুর্ন প্রস্তুত হয়ে রয়েছে এই স্টেডিয়ামটি। এখানে দুটি টেস্ট ও বেশ কয়েকটি ওয়ানডে ও টি-২০ ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে। প্রথমবারের মত রাজকোটের এই স্টেডিয়ামে খেলতে এসেছে বাংলাদেশ। তাই এসোসিয়েশন ও দর্শকদের মধ্যেও বাড়তি উত্তেজনা বিরাজ করছে।’
শাহা আরো জানান, স্টেডিয়ামটি দেখভালের জন্য ভারতীয় বোর্ড বিসিসিআই’র কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছেন। তারাই এজেন্সির মাধ্যমে স্টেডিয়ামটির পরিচর্যা করেন এবং এটিকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখেন। স্টেডিয়াম নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠলে এর দায়ভার তাদেরকেই নিতে হয়।
সাহা বলেন, ‘এখানে হাউজকিপিংয়ের কাজের জন্য কিছু এজেন্সি রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে স্থায়ী কিছু গ্রাউন্ড কর্মচারী। প্রতিদিন এখানে ১৫ থেকে ২০০ জন লোক কাজ করে। আসলে আমাদের ঘরোয়া মৌসুমটি বেশ দীর্ঘ। এখানে প্রচুর সংখ্যক ঘরোয়া ম্যাচের আয়োজন করা হয়। তাই রাজকোটে আমাদের তিন চারটি মাঠ রয়েছে। বছরের মধ্যে অন্তত ২০০ দিন এই মাঠগুলো ব্যস্ত থাকে।
আমাদের প্রচুর সংখ্যক, পুরুষ, মহিলা এবং বয়স ভিত্তিক বালকদের টুর্নামেন্ট রয়েছে। যা অনূর্ধ্ব-১৬,
অনূর্ধ্ব-২৩ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ফরমেটের ক্রিকেট আয়োজিত হয় এখানে। ফলে প্রচুর ঘরোয়া ম্যাচ থাকে।’
বাসস/এমএইচসি/১৮৪০/স্বব