বাসস দেশ-২৬
রাসমেলা-রুট-নির্ধারণ
রাসমেলায় যেতে বন বিভাগের আটটি নিরাপদ রুট নির্ধারণ
খুলনা, ৫ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : আগামী ১০ থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী ‘রাস পূর্ণিমা পুণ্যস্নান’ উপলক্ষে দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীদের জন্য আটটি পথ নির্ধারণ করেছে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ ।
সুন্দরবনের দুবলারচরে আয়োজিত রাস পূর্ণিমায় নিরাপদে যাতায়াতের জন্য এইসব রুটে বন বিভাগ,পুলিশ,বিজিবি ও কোস্টগার্ড বাহিনীর টহল দল তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীদের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।
অনুমোদিত আটটি পথ হলো:বুড়িগোয়ালিনী,কোবাদক থেকে বাটুলানদী-বলনদী-পাটকোষ্টা খাল হয়ে হংসরাজ নদী হয়ে দুবলারচর। কদমতলা হতে ইছামতি নদী, দোবেকী হয়ে আড়পাঙ্গাসিয়া-কাগাদোবেকী হয়ে দুবলার চর। কৈখালী স্টেশন হয়ে মাদার গাং,খোপড়াখালী ভারানী, দোবেকী হয়ে আড়পাঙ্গাসিয়া-কাগাদোবেকী হয়ে দুবলার চর।কয়রা, কাশিয়াবাদ, খাসিটানা,বজবজা হয়ে আড়–য়া শিবসা-শিবসা নদী-মরজাত হয়ে দুবলার চর।নলিয়ান স্টেশন হয়ে শিবসা-মরজাত নদী হয়ে দুবলার চর। ঢাংমারী অথবা চাঁদপাই স্টেশন-তিনকোনা দ্বীপ হয়ে দুবলার চর। বগী-বলেশ্বর-সুপতি স্টেশন-কচিখালী-শেলার চর হয়ে দুবলার চর এবং শরণখোলা স্টেশন-সুপতি স্টেশন-কচিখালী-শেলার চর হয়ে দুবলার চর।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বনবিভাগ সূত্র জানায়,দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীদের ১০ থেকে ১২ নভেম্বর এ তিন দিনের জন্য অনুমতি প্রদান করা হবে এবং প্রবেশের সময় এন্ট্রি পথে নির্দিষ্ট ফি প্রদান করতে হবে। যাত্রীরা নির্ধারিত রুটের পছন্দমতো একটি মাত্র পথ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন এবং দিনের বেলায় চলাচল করতে পারবেন।বনবিভাগের চেকিং পয়েন্ট ছাড়া অন্য কোথাও নৌকা, লঞ্চ বা ট্রলার থামানো যাবে না।
সূত্র জানায়, প্রতিটি ট্রলারের গায়ে রং দিয়ে বিএলসি অথবা সিরিয়াল নম্বর লিখতে হবে।রাস পূর্ণিমায় আগত পুণ্যার্থীদের সুন্দরবনে প্রবেশের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট হতে প্রাপ্ত সনদপত্র সাথে রাখতে হবে। পরিবেশ দূষণ করে এমন বস্তু, শব্দযন্ত্র বাজানো, পটকা ও বাজি ফোটানো,বিস্ফোরক দ্রব্য, দেশীয় যে কোন অস্ত্র এবং আগ্নেয়াস্ত্র বহন থেকে যাত্রীদের বিরত থাকতে হবে। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে অবস্থানকালীন সবসময় টোকেন ও টিকেট নিজের সঙ্গে রাখতে হবে। প্রতিটি লঞ্চ, নৌকা ও ট্রলার-কে মেলা প্রাঙ্গণে কন্ট্রোলরুমে আবশ্যিকভাবে রিপোর্ট করতে হবে।
বাসস/সংবাদদাতা/এসএস/১৯০৭/কেজিএ