ভোলায় ১লাখ ৪৩ হাজার ১৪৩ মেট্রিক টন শীতকালীন সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

420

ভোলা, ৫ নভেম্বর, ২০১৯ (বাসস) : জেলার ৭ উপজেলায় চলতি রবি মৌসুমের ১ লাখ ৪৩ হাজার ১৪৩ মে:টন শীতকালীন সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া সবজি আবাদের টার্গেট ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৬২৭ হেক্টর জমিতে। প্রতিবছরই এ জেলায় সবজির বাম্পার ফলন হয়। তাই শেষ পর্যন্ত আবাহাওয়া অনুক’লে থাকলে এবারও ব্যাপক সবজি আবাদের আশা করছে কৃষি বিভাগ। ইতোমধ্যে দেড় হাজার হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে আবাদ আরো বাড়বে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, জেলায় অক্টোবরের শেষ দিকে সবজির আবাদ শুরু হয়। এখানে একটু দেরিতে ফলন হয়। কারণ এখানে বছরের শেষ দিকেও বৃষ্টিপাত হয়। ফলে পানি নামতে দেরি ও জমিন সুস্ক করতে সময় লাগে। তবে দেরিতে আবাদ হলেও জমি উর্বর হওয়ায় ফলন ভালো হয়। আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত এখানে সবজির আবাদ চলবে বলে সূত্র জানায়।
এসব সবজির মধ্যে রয়েছে, লাল শাক, মূলা, পালং শাক, টমেটো, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, শশা, শিম, মিষ্টি কুমোর, পেঁপে, করলা, কাঁচাকলা, দুন্দুল, বরবটি, ধনে পাতা ।
সদর উপজেলার ধনীয়া গ্রামের কৃষক আলী আসরাফ, ফরিদউদ্দিন ও রহমত আলী বলেন, তারা প্রায় ২ একর জমিতে লাল শাক, মূলা, শিম ও ফুলকপি আবাদ করছেন। কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরণের পরামর্শ সেবা পাচ্ছেন। বর্তমানে সবজি চারা রোপণে ব্যস্ত রয়েছেন তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ দেবনাথ বাসস’কে বলেন, গত বছর জেলায় শীতকালীন সবজির আবাদ হয়েছিলো ১২ হাজার ৪৫১ হেক্টর জমিতে আর উৎপাদন হয়েছিলো ৫ লাখ ৫২ হাজার ৮৫২ মে:টন। যা আবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। এবারও আশা রয়েছে অধিক ফলনের। সবজির জন্য প্রচুর ডিএপই সার প্রয়োজন হয়। আমাদের কাছে তার পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। কাজেই কৃষকদের কোন সমস্যা হবে না। এছাড়া মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা কৃষকদের সব ধরণের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।